1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিংড়ি চাষ

ইয়োহানা গটশাল্ক/এসি২১ আগস্ট ২০১৫

সেই চিংড়ি যদি আবার অরগ্যানিক হয়, অর্থাৎ রাসায়নিক কিংবা অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই চাষ করা হয়ে থাকে, তাহলে পশ্চিমে তার চাহিদা হবে যেমন, দামও হবে তার তিনগুণ বেশি৷

https://p.dw.com/p/1GHmr
Thailand Garnelenzucht
ছবি: Nik Martin

চিংড়ি চাষি তান বিয়েত হো ভালো করেই জানেন যে, সন্ধ্যার দিকে আরো বেশি চিংড়ি জালে ওঠে৷ ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা চিংড়িগুলো কিলবিল করছে৷ চিংড়িগুলো কোনোরকম রাসায়নিক কিংবা অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই বড় হয়৷ অন্যান্য চাষিরা যেমনটা করে থাকেন, হো তেমন করেন না বলে তিনি তাঁর চিংড়িগুলোকে অরগ্যানিক চিংড়ি বলতে পারেন৷

হো জানালেন, ‘‘একটি বড় চিংড়ির কারখানার সঙ্গে আমার চুক্তি আছে: তারাই আমার অরগ্যানিক চিংড়িগুলো কিনে নেবে৷ কারখানার দালালরা এসে আমার ভেড়ি দেখে যাবেন৷ তাঁরা পরিদর্শন করার পর আমি সরাসরি আমার চিংড়ি তাদের বিক্রি করতে পারব৷ এখন যা পাই, তার চেয়ে দশ শতাংশ বেশি দাম পাবো৷''

গত ২৫ বছর ধরে চিংড়ির চাষ করে তান ভিয়েত হো সংসার চালাচ্ছেন৷ হো-র চার সন্তান, নাতিনাতনি তেরোটি৷ রোজ রাতে সকলে একসঙ্গে খেতে বসেন৷ পরদিন ভোরবেলা হো আবার পরখ করে দেখছেন: জালে ৯ কিলো চিংড়ি উঠেছে! দারুণ৷ হো বললেন, ‘‘আমি এত মাছ ওঠায় খুব খুশি৷ এ রকম মাছ উঠতে থাকলে আমি কোনো না কোনো দিন একটা নতুন বাড়ি বানাতে পারব, আমার নাতি-নাতনিদের পড়াশোনার খরচ দিতে পারব৷''

কিলো প্রতি বাগদা চিংড়ির দাম পাওয়া যায় প্রায় দশ ইউরো৷ সে সব চলে যায় প্রধানত ইউরোপ বা অ্যামেরিকায়৷ সেখানেও অরগ্যানিক খাবার-দাবারের দাম বাড়ছে৷ ইউরোপের বাজারে এক কিলো অরগ্যানিক চিংড়ি বিক্রি হয় ৩০ ইউরো মূল্যে৷

ম্যানগ্রোভ ও চিংড়ি চাষ

প্রতিবেশী এক চিংড়ি চাষির ভেড়িতে ঠেসমূল বা শ্বাসমূল ম্যানগ্রোভ বাড়ানোর চেষ্টা চলেছে৷ অতীতে বহু মাছচাষি তাদের ভেড়ি থেকে গাছপালা তুলে ফেলেছিলেন৷ এখন ঠিক তার উলটো প্রচেষ্টা চলেছে৷ চা মাউ প্রদেশের বনবিভাগের কর্মকর্তা মান মিন তা জানালেন, ‘‘ম্যানগ্রোভের সঙ্গে ভেড়িতে মাছচাষ, বিশেষ করে চিংড়িচাষের একটা গূঢ় সম্পর্ক আছে৷ সামুদ্রিক প্রাণিদের থাকা-খাওয়া ও প্রজননের জন্য ঠেসমূল অরণ্য একটা সুযোগ্য পরিবেশ৷ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট গরমকালে জলের তাপমাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে৷''

ম্যানগ্রোভ দিয়ে ভিয়েতনামের উপকূল রক্ষার চেষ্টা চলেছে৷ থুই থি বিচ নুইয়েন চিংড়ি চাষিদের ম্যানগ্রোভ প্রকল্পের প্রধান৷ তিনি বললেন, ‘‘এই অঞ্চলে একটানা উপকূলের ক্ষয় চলেছে৷ ১৯৯৩ সাল যাবৎ আমরা ৭০০ মিটার উপকূলভূমি হারিয়েছি, অর্থাৎ বছরে ৩০ মিটার করে৷''

জলবায়ু পরিবর্তন ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ভিয়েতনামের দক্ষিণে ৪০ শতাংশ জমি জলমগ্ন হতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য