1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিনি বিগব্যাং ঘটাতে সাফল্য পেলেন বিজ্ঞানীরা

৯ নভেম্বর ২০১০

শেষ পর্যন্ত হল বিগব্যাং৷ ছোট আকারে মহাবিশ্ব সৃষ্টির সেই অসামান্য বিস্ফোরণ সম্ভব হল এলএইচসি বা কৃত্রিম গবেষণাগারে৷ সত্যিই ব্যাপারটা ঘটাতে পারলেন বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/Q24A
LHC, Big Bang, David Ivans, DW, Supriyo Bandyopadhyay,dw,Sun, Geneva, France, বিগ ব্যাং, সুড়ঙ্গ, সাফল্য, ডেভিড ইভানস, জেনেভা
এলএইচসি-র সেই সুড়ঙ্গের একাংশছবি: AP

সাফল্য এল অবশেষে. তবে সময় লাগল কিছুটা৷ একটু আধটু নয়, দীর্ঘ বিশ বছর৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্যিই ঘটল সেই তাজ্জব ঘটনা৷ সুইৎসারল্যান্ড আর ফ্রান্সের সীমান্তে বিগ ব্যাং-এর রহস্য খতিয়ে দেখতে যে লার্জ হাডরন কলাইডার বা এলএইচসি তৈরি হয়েছে, সেখানেই এল সাফল্য৷

সাফল্য এসেছে নভেম্বরের সাত তারিখে৷ সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন প্রধান বিজ্ঞানী ড. ডেভিড ইভানস৷ জেনেভার কাছে মাটির তলায় সাতাশ কিলোমিটার লম্বা এক সুড়ঙ্গের মধ্যে ঘটানো হয়েছে কৃত্রিম বিস্ফোরণ৷ বিস্ফোরণের পর দেখা গেছে মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে যেমনটা ধারণা করছিল বিজ্ঞান, অনেকটা তেমনই ঘটেছে৷ প্রোটনের পরিবর্তে আয়নগুলিকে ধ্বংস করেছে এই মিনি বিগ ব্যাং৷প্রত্যাশামতই এই গবেষণাগার বিস্ফোরণের পর বিপুল তাপমাত্রা উৎপন্ন হয়েছিল৷ যে তাপমাত্রা সূর্যের কেন্দ্রের চেয়ে কয়েক মিলিয়ন গুণ বেশি, বলছেন বিজ্ঞানীরা৷

১৩.৭ মিলিয়ন বছর আগে ঘটেছিল সেই আদি বিগ ব্যাং৷ মহা বিস্ফোরণ৷ যার ফলে তৈরি হয়েছিল এই মহাবিশ্বের৷ যেখানে আজ রয়েছি আমরা সকলে৷ সেই বিগ ব্যাং-এরই একটা ছোট্ট সংস্করণ থেকে আপাতত বহুকিছুই বুঝে নেবে বিজ্ঞান৷ বিশ্ব সৃষ্টির রহস্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছতে এই গবেষণার সাফল্য অনেকখানি এগিয়ে নিয়ে যাবে আধুনিক বিজ্ঞানকে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা