1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে সাংবাদিকের জেল হেফাজত

১৪ মে ২০২১

এই প্রথম মিয়ানমারের আদালত সরকার-বিরোধী খবর লেখার জন্য শাস্তি দিল কোনো সাংবাদিককে।

https://p.dw.com/p/3tMi9
মিয়ানমার
ছবি: Gemunu Amarasinghe/AP/picture alliance

সেনা সরকারের বিরোধী খবর করার অপরাধে এই প্রথম সাংবাদিককে শাস্তি দেওয়া হলো মিয়ানমারে। যা নিয়ে সরব হয়েছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। দ্রুত ওই সাংবাদিককে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেও চাপ দেওয়া হচ্ছে মিয়ানমারের সেনা শাসককে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাতে কোনো লাভ হয়নি।

থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিচ্ছেন মিয়ানমারের হাজারো মানুষ

বিদ্রোহের মাধ্যমে মিয়ানমারের শাসন ক্ষমতা সেনা নিজের হাতে তুলে নেওয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে লাগাতার আন্দোলন চলছে। করোনাকালেও আন্দোলন বন্ধ হয়নি। প্রথম থেকেই কড়া হাতে আন্দোলন দমন করছিল সেনা প্রশাসন। আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। মাথায় লাঠির আঘাত করা হয়েছে। বহু বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। জেলে ঢোকানো হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে।

একাধিক সাংবাদিককেও সে সময় গ্রেপ্তার করা হয়। মার্চ মাসের গোড়ায় তেমনই এক আন্দোলনের খবর করেছিলেন ডেমোক্র্যাটিক ভয়েস অফ বার্মার সাংবাদিক মিন নিও। তারপরেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ, থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের এক আদালতে মিনের মামলার শুনানি হয়। সেখানে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তিন বছর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহের উস্কানি দিয়েছিলেন মিন।

মিয়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যম ডেমোক্র্যাটিক ভয়েস অফ বার্মা (ডিভিবি)। বৃহস্পতিবার তারা জানিয়েছে, আরো তিনজন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে পালিয়ে গেছেন থাইল্যান্ডে। অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য থাইল্যান্ড তাদের আটক করেছে। ডিভিবি থাই প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে, কোনো ভাবেই যেন ওই সাংবাদিকদের মিয়ানমারে পাঠানো না হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি, মিয়ানমারে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কার্যত শেষ। অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। মিনের দ্রুত মুক্তির দাবি করেছে মানবাধিকার সংগঠনটি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)