1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুক্তির পথে খালেদা জিয়া?

২১ জুন ২০১৯

আর মাত্র দুইটি মামলায় জামিনের অপেক্ষায় আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এর মধ্যে তিনি ৩৪টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। তার আইনজীবীরা বলছেন, সরকার ‘হস্তক্ষেপ’ না করলে তিনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে আসবেন।

https://p.dw.com/p/3KqSl
Khaleda Zia Bangladesch
ছবি: Bdnews24.com

খালেদা জিয়া গত ১৬ মাস ধরে কারাগারে আটক আছেন। অসুস্থতার কারণে, ১ এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি প্রধান৷

তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৩৬। ৩৪টি মামলায় মিলেছে জামিন৷ গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটুক্তি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলা দুটিতেও জামিন পেয়েছন খালেদা৷

যে দুই মামলায় খালেদা জিয়া জামিনের অপেক্ষায় আছেন তা হল, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা।  এই দুইটি মামলায় খালেদা জিয়ার মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। ওই দিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলে এই মামলায় তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।  আর গেল বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

খালেদ জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আর মাত্র দুইটি মামলায় জামিন বাকি আছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আইন তার নিজস্ব গতিতে চললে এবং সরকার কোনো হস্তক্ষেপ না করলে, আইন বহির্ভূত কোনো কাজ না করে আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে খালেদা জিয়া জামিনে বের হয়ে আসতে পারবেন।' সরকার আগেও খালেদা জিয়ার মামলায় হস্তক্ষেপ করেছে বলে জানান এই আইনজীবী৷

কায়সার কামাল

তিনি বলেন, ‘আগামী রোববারে জিয়া  চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আবার জামিনের জন্য মেনশন করবো। জামিনের আবেদন আগেই করা আছে। দুই মাস সময় নেয়া হয়েছিল শুনানির জন্য। সেই সময় এরইমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।  আশা করছি আগামী এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে এটা শেষ হবে। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার জামিনের বিষয়টিও এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে নিস্পত্তি হয়ে যাবে আশা করি।‘

হাইকোর্ট ডিভিশনে থাকা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটির শুনানি ৩০ জুনের পরে হওয়ার কথা। আদালত ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে নথি তলব করেছিলেন।  ওই সময়ের মধ্যে নথি না আসলেও জামিন শুনানির কথা রয়েছে।

অন্যদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি আছে আপিল বিভাগে । ওই মামলায় সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছর থেকে ১০ বছর করায় আবার জামিন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।  সাজা বাড়ানোর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জামিনেরও আবেদন আছে।

খালেদ মাহমুদ

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন,‘ আইনগতভাবে এই দুইটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন না পাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।'

খালেদা জিয়ার মামলা আর জামিন সম্পর্কে মন্তব্য করতে নারাজ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়।'

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী  ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আদালত শাস্তি দিয়েছে। তিনি আইনগতভাবে মুক্তি পেলে আমাদের কিছু করার নেই।'

তিনি বলেন, ‘বিএনপি জানে, খালেদা জিয়া অপরাধ করেছেন৷ তাই তারা নানা কথা বলছে। জামিনে মুক্তিও পেলেও তিনি অপরাধী।'

প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলার মধ্যে ২১টি আদালতের নির্দেশে স্থগিত আছে। ১৩টি মামলা বিচারাধীন। আর দুইটি মামলায় তার দণ্ড হয়েছে।

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য