মুখোমুখি অবস্থানে এএফডি ও জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা
১১ মার্চ ২০২৪জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ‘ফেডারেল অফিস ফর দ্য প্রটেকশন অফ দ্য কন্সটিউশন’ (বেএফফাউ) এর মতে উগ্র-ডানপন্থি দল‘অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচলান্ড’ (এএফডি) দেশটির সংবিধান বিরোধী৷ ২০২১ সালে দলটির কার্যক্রম ‘সন্দেহজনক’ হিসেবে উল্লেখ করে আদলতে একটি মামলা করা হয়৷ এএফডির পক্ষ থেকে কোলনের প্রশাসনিক আদালতে আপিল করা হলেও আদালত তা বাতিল করে দেয়৷ পরবর্তীতে মুনষ্টার এর উচ্চ আদালতে আপিল করা হলে ২০২৪ সালের ১২ ও ১৩ মার্চ তার শুনানির দিন ঠিক করা হয়৷
অবশ্য গোয়েন্দা সংস্থা (বেএফফাউ) কোন নির্বাহী ক্ষমতা না থাকলেও সংস্থাটি জার্মানির ১৬ টি প্রদেশের বিভিন্ন স্তরে কাজ করা স্থানীয় সংস্থাদের কাছ থেকে এএফডির গণতন্ত্র বিরোধী কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে৷ যার ভিত্তিতে সরকার, দল অথবা ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিতে পারে৷ তবে কোন রাজনৈতিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হলে তার আগে অবশ্যই সংসদে ওই বিষয়ে ভোট হতে হবে৷
বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত উগ্র-ডানপন্থা
সমাজে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উগ্রবাদিতা থামাতে বেএফফাউ এর কোলন সদর দপ্তর ও বার্লিনে প্রায় চার হাজার ৩০০ কর্মী কর্মরত রয়েছেন৷ সংস্থাটির গত কয়েক বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে উগ্র-ডানপন্থার উদ্ভবকে জার্মানির গণতন্ত্রের জন্য সবেচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ যদিও সে প্রতিবেদনে দেশটির বামপন্থি ও ইসলামিক সংগঠনগুলিকেও রাখা হয়েছে৷
২০১১ সালে ‘ন্যশনাল সোশ্যালিস্ট আন্ডারগ্রাউন্ড’ (এনএসইউ) প্রতিষ্ঠার পর গোয়েন্দা সংস্থা (বেএফফাউ) ও অন্যান্য সংস্থাগুলি দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এএফডির সদস্যদের উপর নজরদারি করেছে৷ কিন্তু কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তারা ব্যর্থ হয়৷
আদালতের যাচাই-বাছাই
উগ্রপন্থি সংগঠন হিসেবে প্রমাণিত বা সন্দেহজনক কোন সংগঠনের সদস্যদের উপর নজরদারি করার ক্ষমতা জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার (বেএফফাউ) রয়েছে৷ তবে এর বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করা যেতে পারে৷ এএফডি প্রতিবারই মামলার শুনানিতে তাদের বিরুদ্ধে করা বেএফফাউ এর মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবে উল্লেখ করেছে৷
এর আগেও বিভিন্ন সময় জার্মানির অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন৷ ২০১৩ সালে থুরিঙ্গিয়া প্রদেশের সরকার প্রধান বোডো রামেলো সাংবিধানিক আদালতে আপিল করলে আদালত তার উপর করা নজরদারিকে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ হস্তক্ষেপ’ বলে রায় দিয়েছিল৷
এসএইচ/কেএম