1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা গণহত্যা: তদন্তের সুযোগ দিচ্ছে না মিয়ানমার

৮ জুলাই ২০২৩

রোহিঙ্গাদের ওপর সংগঠিত গণহত্যা তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রতিনিধিদের মিয়ানমার সরকার দেশটিতে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সংস্থাটির চিফ প্রসিকিউটর করিম এ খান৷

https://p.dw.com/p/4TcVQ
নিজ দেশে ফিরে যেতে চান বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা, কিন্তু প্রত্যাবাসনে নেই কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি৷ছবি: Mohibulla Mohib

তবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি৷ ঢাকায় শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন৷

রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলমান মামলাটি খুব জটিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘এই মামলার ট্রায়াল কবে শেষ হবে তার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলা যাবে না৷ আমি ইউক্রেনের অমানবিক ঘটনারও তদন্ত করছি৷ ইউক্রেনের মামলার সঙ্গে রোহিঙ্গা মামলার পার্থক্য হচ্ছে যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য আমি ইউক্রেন যেতে পারছি৷ কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমার যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না৷সে দেশের সরকারের অনুমতি পাচ্ছি না৷''

করিম এ খান বলেন, ‘‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার মত অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন কারা ঘটিয়েছে এবং কাদের নির্দেশে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটেছে তাদেরকে চিহ্নিত করার জন্য জন্য কাজ করছি৷ আমি আশাবাদী যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে৷''

করিম এ খান কক্সকাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন৷ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যে গণহত্যার অভিযোগ, তা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সাক্ষ্য নিতে কক্সবাজারে যান তিনি৷

গণহত্যার জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করতে সামনের বছর আবারও বাংলাদেশে আসবেন বলে রোহিঙ্গাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি৷ করিম এ খান বলেন, ‘‘বিশ্বে যা-ই ঘটুক না কেন বিশ্ববাসী রোহিঙ্গা সংকট ভুলে যেতে পারে না৷''

Niederlande, Den Haag | Internationaler Gerichtshof
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চিফ প্রসিকিউটর করিম এ খান৷ছবি: Peter Dejong/AP/picture alliance

রোহিঙ্গা গণহত্যার তদন্তে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে এসে তিনি জানান, কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় তিনি রোহিঙ্গা যুব গোষ্ঠীর সঙ্গে আইসিসির কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেছেন৷তরুণেরা কিভাবে ন্যায়বিচার প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে পারেন তা তিনি বিবেচনা করছেন৷ কুতুপালং ক্যাম্পে প্রথম বৈঠকে রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি৷

তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের আর্থিক তহবিলে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যার কারণে গত মার্চ থেকে তাদের দুইবেলা খেতে হচ্ছে৷ রোহিঙ্গাদের খাবারে কাটছাঁট করায় তারা অনেক কষ্টে আছেন৷ এজন্য বিশ্ববাসীর আরো সমর্থন জরুরি৷''

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ন্যায়ের পতাকা ধরে রেখেছে৷''

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও মামলার শুনানি একসঙ্গে চলতে পারে৷ দুইটা দুই বিষয়৷''

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গাদের বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব মামলা নিষ্পত্তির জন্য আইসিসির প্রচেষ্টা আশা  করেন৷মঙ্গলবার আইসিসির প্রসিকিউটরকে তিনি বলেন, ‘‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলাটি শেষ করার জন্য আপনার প্রচেষ্টা করা উচিত৷ বিলম্বে বিচার মানে বিচারের নামে প্রহসন৷''

২০১৯ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারকরা আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করার আবেদন মঞ্জুর করেন৷ প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য