লিবিয়ায় ন্যাটোর অভিযান প্রশ্নের মুখে পড়তে যাচ্ছে!
১৯ জুন ২০১১রাজধানী ত্রিপোলির পাশে একটি শহরতলিতে রবিবার দিনের শুরুতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা৷
এরপর লিবিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয়৷ তাদেরকে একটি বাড়ির ধ্বংসস্তুপ দেখানো হয়৷ সঙ্গে দুজনের মৃতদেহ৷ এরপর সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে৷ যেখানে আরও তিনজনের লাশ দেখানো হয়৷ এর মধ্যে দুটি লাশ ছিল দুই শিশুর৷
এসময় লিবিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ কাইম সাংবাদিকদের বলেন, ন্যাটো ইচ্ছাকৃতভাবে নিরীহ জনগণের উপর হামলা করছে৷ জবাবে ন্যাটো বলেছে তারা এই অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে৷
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যাদের মরদেহ দেখানো হয়েছে তারা আসলেই ন্যাটোর অভিযানে মারা গিয়েছে কিনা, সাংবাদিকদের পক্ষে তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি৷
উল্লেখ্য, এর আগে এমন একটি ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি আহত শিশুকে দেখিয়ে বলা হয়েছিল যে, সে ন্যাটোর অভিযানে আহত হয়েছে৷ কিন্তু পরে হাসপাতালের ডাক্তার বিদেশি এক সাংবাদিককে বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছিল যে, ছেলেটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে৷
কিন্তু ন্যাটোর অভিযানের বিষয়টি যদি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে সংস্থার সদস্যদের মধ্যে এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে৷
এদিকে লিবিয়ার আরেক শহর মিসরাটাতে গাদ্দাফি সমর্থকদের হামলায় চার বিদ্রোহী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ আহত হয়েছে ১৮ জন৷
ইতিমধ্যে ন্যাটোর ভূমিকা নিয়ে বিদ্রোহীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে৷ মিসরাটার এক বাসিন্দা বলছে ন্যাটো কোনো কিছুই করছে না৷ তিনি বলেন কয়েকদিন আগে গাদ্দাফির সৈন্যদের ভয় দেখাতে ন্যাটো একটি লিফলেট ফেলেছিল৷ তাতে লেখা ছিল, গাদ্দাফির সেনারা যদি অস্ত্র না ফেলে তাহলে তাদের উপর আক্রমণ চালানো হবে৷ কিন্তু পরে আর ন্যাটোর পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি৷
এদিকে বিদ্রোহীদের প্রধান তেল কর্মকর্তা আলি তারহুনি, তাদেরকে ঠিকমত সহায়তা না করায় পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনা করেছেন৷ তিনি বলছেন পশ্চিমারা যেভাবে সহায়তার কথা বলেছিল, বাস্তবে সেটা করেনি৷ তাই বিদ্রোহীদর সব পকিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে বলে জানান তিনি৷
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সব শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ এটা পুরোপুরি একটা ব্যর্থতায় পরিণত হতে যাচ্ছে৷''
তারহুনি বলেন, ‘‘যেসব লোকেদের কাছে আমরা সাহায্যের জন্য গেছি, যেসব সম্মেলনে আমরা অংশ নিয়েছি, সেখানে পশ্চিমা নেতারা বড় বড় কথা বলেছেন৷ যেগুলোর প্রশংসাও করেছিলাম আমরা৷ কিন্তু বাস্তবে টাকা দেয়ার সময় দেখা গেল কারও কোনো খবর নেই৷ ফলে মানুষ মরছে নিয়মিত৷''
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম