শিল্পীর তুলিতে আঙ্গেলা ম্যার্কেল
তাঁর ‘মেন্টর’ হেলমুট কোলের মতোই এবার চতুর্থ কর্মকাল শুরু করতে চলেছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ স্বাভাবিকভাবেই, রাজনীতির জগতে তাঁর গুরুত্বের প্রতিফলন ঘটেছে শিল্পের জগতে, যার কিছু নিদর্শন রয়েছে এই ছবিঘরে৷
ম্যার্কেলের মানবিকতা
ছবিতে ম্যার্কেল সাধারণত নীরব, নিরুদ্বিগ্ন, নিরুত্তাপ৷ উত্তর আয়ারল্যান্ডের চিত্রশিল্পী কলিন ডেভিডসন তাঁর ম্যার্কেল প্রতিকৃতিতে বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিকের মানবিক দিকটি ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন৷ ২০১৫ সালে আঁকা ছবিটি টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ অলঙ্কৃত করে, ম্যার্কেল সে বছরই ‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে মনোনীত হন৷ তার পিছনে ছিল চলতি উদ্বাস্তু সংকটে তাঁর সাহসী ও সহানুভূতিপূর্ণ মনোভাব৷
পপ আইকন ম্যার্কেল
মার্কিন চিত্রশিল্পী এলিজাবেথ পিটন ‘ভোগ’ ফ্যাশন ম্যাগাজিনের জন্য ২০১৭ সালে ম্যার্কেলের এই প্রতিকৃতিটি আঁকেন৷ পিটনের ছবির বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি ম্যার্কেলকে এক তরুণীর অবয়ব প্রদান করেছেন৷ পিটন এভাবেই বিভিন্ন পপ তারকার ছবি এঁকেছেন৷
ফেডারাল শিল্পসংগ্রহের অঙ্গ
১৯৭০ সাল থেকে ‘বুন্ডেসকুন্স্ট্জামলুং’ বা ফেডারাল শিল্পসংগ্রহে যুদ্ধপরবর্তী জার্মান শিল্পকলার নমুনা সংরক্ষণ করা হচ্ছে৷ ম্যার্কেলের এই প্রতিকৃতিটির শিল্পী কিন্তু নেদারল্যান্ডসের এরিক ফান লিজহুট৷
মডেল ও শিল্পী, দু’জনই নামকরা রাজনীতিক!
আঙ্গেলা ম্যার্কেলের এই প্রতিকৃতিটির আঁকিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ৷ বুশ এভাবেই মোট ৩০ জন সরকারপ্রধানের ছবি এঁকেছেন – স্বভাবতই আঙ্গেলা ম্যার্কেল সেই সংগ্রহ থেকে বাদ যাননি৷
শ্লীল-অশ্লীল দু’ই আছে
আলেক্সান্ডার নিকোলিচ ও মিশায়েল কালিভোদা, এই দুই শিল্পী তাঁদের ‘ইউরোপীয় নাগরিকত্ব’ শীর্ষক একটি ভাস্কর্যে একবার দেখিয়েছিলেন, ম্যার্কেল কিভাবে পূর্ব ইউরোপের মানুষদের ইউরোপের নাগরিকত্ব পাবার আশার উপর ‘মলত্যাগ’ করছেন৷ অপরদিকে পেটার লেঙ্কের একটি রিলিফ বা উদ্গত ভাস্কর্যে ম্যার্কেলকে অপরাপর ‘গ্লোবাল প্লেয়ার্স’-এর সঙ্গে উলঙ্গ দেখানো হয়েছে৷ (ছবিতে) গেয়র্গ কোর্নারের ইনস্টলেশনে ম্যার্কেল ২,৬০০টি মূর্তির একটি৷
দেশশাসনের দায়
আলোকচিত্রী হ্যার্লিন্ডে কোয়েলবল তাঁর ‘ক্ষমতার চিহ্ন’ পর্যায়ের ফটো সিরিজে সাবেক চ্যান্সেলর গ্যার্হার্ড শ্রোয়েডার বা সবুজ রাজনীতিক ইয়শ্কা ফিশারের মতো আঙ্গেলা ম্যার্কেলের পরিবর্তনকেও ধরে রাখতে চেয়েছেন৷ ক্ষমতা যে মানুষের মুখাবয়ব ও অভিব্যক্তি বদলে দিতে পারে, সেই বাস্তব সত্যটিকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন কোয়েলবল৷
‘হিপস্টার’ ম্যার্কেল
ইসরায়েলি অলঙ্করণ শিল্পী আমিৎ শিমোনির তুলিতে বড় বড় রাজনীতিকরা হয়ে ওঠেন হিপস্টার – ট্রাম্প পরে থাকেন হাওয়াই শার্ট ও ওবামার মাথায় গজায় জটাজুটের মতো ক্যারিবিয়ানের ড্রেডলক হেয়ারস্টাইল৷ সেই পর্যায়ে আঙ্গেলা ম্যার্কেল লালকালো লিপস্টিক, মাথায় টুপি আর নাকে পিয়ার্সিং, অর্থাৎ হালফ্যাশনের নাক ফুঁড়িয়েই পার পেয়েছেন৷
ব্যঙ্গচিত্রীদের পোয়াবারো
ম্যার্কেলের ব্যঙ্গচিত্র আঁকা দৃশ্যত আদৌ শক্ত নয়: প্রতিবছর কপালে আর মুখে বা চোখের কোণে চিন্তার রেখাগুলিকে আর একটু গভীর করে আঁকলেই কাজ শেষ৷ সারা দুনিয়ার ব্যঙ্গচিত্রীকে দৃশ্যত আরো চার বছর ধরে ম্যার্কেলের ছবি আঁকতে হবে: তাতে তারা খুশি না অখুশি, সেটা শুধু তারাই জানেন৷