সচিবালয়ে আগুন, জানা যায়নি কারণ
বুধবার গভীর রাতে বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ নাগাদ আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ষষ্ঠ থেকে অষ্টমতলায় আগুন
বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠ থেকে অষ্টমতলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ক্ষতির মাত্রা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক সদস্য ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার প্রথম আলোকে জানান ৬নম্বর ভবনের চলন্ত করিডরের কারণে সচিবালয়ের ভেতর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকাতে সমস্যা হয়েছে। ভবনের পাঁচটি ফটকের মধ্যে মাত্র দুটি দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করতে পেরেছে।
উদ্ধারকাজে বিজিবি
আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-ও অংশ নেয়। সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনটিতে স্থানীয় সরকার, অর্থ, সড়ক পরিবহণ ও সেতু, যুব ও ক্রীড়া, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি বিভাগ রয়েছে।
উৎসুক জনতার ভিড়
বৃহস্পতিবার দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই আশেপাশের বাসিন্দারা সচিবালয়ের মুল ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের রাতভর চেষ্টায় ততক্ষণে আগুন অনেকাংশে নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছিল।
মূল প্রবেশপথে সেনা মোতায়েন
আগুন লাগার কিছুক্ষণ পরই সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি জোরদার করতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সচিবালয়ের মুল ফটকসহ সবকটি প্রবেশ পথে অবস্থান নেয়। ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার প্রথম আলো জানিয়েছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর সকাল ৯টার দিকে ৫নম্বর ফটক খুলে দিলে অপেক্ষমান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন।
এক দমকলকর্মীর মৃত্যু
সচিবালয়ের প্রবেশপথে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুন লাগার কারণ জানতে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। বুধবার রাতে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাকচাপায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মো. সোহানুর জামান নয়ন প্রাণ হারান। পানির পাম্পের সঙ্গে সংযোগ দিতে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকচাপায় তিনি আহত হন । ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাস্পাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।