সব প্রতিকূল অবস্থা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেলায়?
২৭ মে ২০২১এভাবেই অনেক পাঠক তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় ৷ বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, "খুব বেশি প্রতিকূল পরিস্থিতি না থাকলে আমরা ১৩ জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাই ৷” এর প্রেক্ষিতে পাঠক সিরাজুল ইসলাম লিখেছেন,
"স্কুলের নতুন বছরে এক দিনের জন্য ক্লাস হয়নি ৷ ২০২১ সালে বিগত পাঁচ মাসের স্কুলে বেতন দেওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের বলে দিয়েছেন স্কুল মাষ্টার সাহেবরা ৷” এই বেতন দেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত, প্রশ্ন রেখেছেন তিনি ৷
" আবারো বোকা বানাইল শিক্ষার্থীদের৷ এতবার প্রতারণা করল তারপরও তারাও দীপু মনির কথা বিশ্বাস করে ৷” মন্তব্য মোস্তফা কামাল হাসিবের৷
সব প্রতিকূল অবস্থা কি শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেলায়ই? শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এই প্রশ্ন পাঠক ফজলে রাব্বির ৷
কোন সালের ১৩ জুন ? বারবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ায় হতাশ হয়েই প্রশ্নটি করেছেন ওমর আল ফারুক, ফিরোজ আলম, সাইফ আহমেদের মতো কেউ কেউ৷
মেহরাব হোসেন রাফি লিখেছেন, কতোবার যে একই প্রতিশ্রুতি শুনলাম, এই নাটকের ফল কি৷
আর মোহাম্মদ গোলাম আযমের মতে, সবকিছু যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত৷ কোনো জাতিকে ধ্বংস করতে হলে তার শিক্ষা ব্যবস্থা অকেজো করে রাখ তাহলে ওই জাতি আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না৷
মোহাম্মদ শাহিন দেওয়ান বলছেন, একটা দেশের শিক্ষাকে মেরে ফেললে দেশ এমনি মরে যায়৷
শিক্ষামন্ত্রীকে লক্ষ্য করে পাঠক হোসেন আহমেদ সীমান্ত লিখেছেন, "আপনাদের মূল পরিকল্পনা জনগণ ভালো করেই বুঝতে পারছে!! নিজেদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন৷'' নুরুল হক সজল লিখেছেন, " আমি মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি৷ দশ তালা থেকে, নীচ তালা নেমে দেখেন৷ কয়টা ছাত্রছাত্রী বা শিক্ষার্থী বাসার মধ্যে আবদ্ধ আছে! আমার জরিপের একটাও নেই! বিগত দিনের ছাত্রছাত্রীরা আজ সারা দেশ চষে বেড়াচ্ছে ; তাতে করোনা ধরে না! আর স্কুল কলেজ খুলে দিলে করোনা ধরবে! এই কথার কোন ভিত্তি নেই!”
" ১৩ জুন আমরা সরকারের দিকে না তাকিয়ে, যে যার বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাই৷ আর শিক্ষকরাও বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করি৷ তাহলে আর বারবার আমাদের এইধরনের প্রতারণায় পড়তে হবে না৷” এভাবেই সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন রোজা রহমান রোজী৷
বারবার স্কুল খোলার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ায় অসন্তুষ্ট ওয়াজিদ হোসেন, জওয়াদুল করিম খানসহ অনেকেই৷
সবশেষে পাঠক ফারুক হোসেন সৈকত শুধু লিখেছেন, " মানুষ আশায় বেঁচে থাকে৷”
সংকলন:নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা:খালেদ মুহিউদ্দীন