সরকার-তালেবান বৈঠক: সমাধানসূত্র অধরা
১৯ জুলাই ২০২১বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। তবে তালেবান এবং আফগান সরকার দুই পক্ষই ফের আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। অন্যদিকে, দেশ জুড়ে আফগান সেনার সঙ্গে তালেবানের লড়াই অব্যাহত।
গত কয়েকমাস ধরেই আফগানিস্তান জুড়ে তালেবানের সঙ্গে আফগান সেনার তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। একের পর এক অঞ্চল তালেবান দখল করতে শুরু করেছে। তারই মধ্যে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। জার্মান সেনা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে এসেছে। মার্কিন সেনাও অগাস্টের মধ্যে চলে আসবে। এই সুযোগটাই ব্যবহার করছে তালেবান। অপেক্ষাকৃত কম প্রশিক্ষিত আফগান সেনাকে কার্যত কোণঠাসা করে ফেলেছে তারা। গত শুক্রবার রয়টার্সের ফোটোগ্রাফার এবং পুলিৎজার জয়ী সাংবাদিক দানেশ সিদ্দিকিও তালেবানের হাতে নিহত হন।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার দোহায় তালেবানের সঙ্গে বৈঠকে বসে আফগান প্রশাসন। শনি এবং রবিবার দুইপক্ষের বৈঠক হয়। রোববার দুইপক্ষ একটি যৌথ বিবৃতি পেশ করে। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। কিন্তু দ্রুত ফের বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালেবান এবং আফগান সরকার। উচ্চপর্যায়ের সেই বৈঠকে সমাধানসূত্র খোঁজা হবে। তবে তালেবানের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুইপক্ষের মধ্যে কোনো চুক্তি হয়নি। এমনকী, যুদ্ধবিরতিরও কোনো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বাস্তব পরিস্থিতি
কিছুদিন আগে মার্কিন গোয়েন্দাসূত্র জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এখন তালেবানের হাতে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের রাজধানী তারা ঘিরে ফেলেছে। দখল করেছে দেশের প্রায় প্রতিটি সীমান্ত। জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ স্বতন্ত্র ভাবে আরেকটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষা বলছে, দেশের অর্ধেক এখন তালেবানের দখলে। ৪০০টি জেলায় তালেবান ফৌজ ঢুকে পড়েছে। গত সপ্তাহে কান্দাহারেও তালেবানের সঙ্গে আফগান সেনার তীব্র লড়াই হয়েছে। শেষপর্যন্ত পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে আফগান সেনা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, আফগান সরকারকেই এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। অ্যামেরিকা আর তাদের সাহায্য করবে না। তবে জাতিসংঘের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানকে ৮৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হবে। ওই অর্থের সাহায্যে সেনা অস্ত্র কিনতে পারে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)