সিরিয়ায় আত্মঘাতী হামলায় নিহত ২৫
৬ জানুয়ারি ২০১২হামলার সর্বশেষ
শুক্রবার সকালে দামেস্কের একটি জনবহুল এলাকায় এই আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে৷ সরকারি টেলিভিশনে এ খবর জানানো হয়েছে৷ নিহতদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ৷ তবে কিছু নিরাপত্তা কর্মীও রয়েছে বলে জানা গেছে৷ উদ্ধারকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নিহতদের শরীরের অংশ সংগ্রহ করছেন - টেলিভিশনে এমন ছবি দেখতে পাওয়া গেছে৷ ঠিক একই ধরণের আরেকটি হামলা হয়েছিল গতমাসের শেষের দিকে৷ সেটাও দামেস্কেই হয়েছিল৷
হামলার পেছনে কারা
শুক্রবারের হামলার জন্য কে দায়ী সেটা এখনো জানা যায়নি৷ কোনো গোষ্ঠীও এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি৷ তবে গতমাসের হামলাটা আল-কায়েদার কাজ ছিল বলে সরকারের ধারণা৷ তবে সিরিয়ায় যারা সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত তাদের ধারণা, শাসকগোষ্ঠীই ঐ হামলার সঙ্গে জড়িত৷ বিরোধীরা বলছেন, এ ধরণের হামলার ঘটনার মাধ্যমে সরকার বিশ্বকে বোঝাতে চায় যে, আন্দোলনকারীদের দমাতে নয়, বরং দেশের ভেতরে থাকা জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়ছে তারা৷
আরব লিগের পর্যবেক্ষণ
পর্যবেক্ষকরা ঠিকমত দায়িত্ব পালন করতে পারছেন বলে মনে হচ্ছে না৷ কেননা দুই সপ্তাহ ধরে তারা সিরিয়ায় কাজ করছেন৷ অথচ সরকারি বাহিনীর নির্যাতন কমছে না৷ শুক্রবারও হামা শহরে দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ আর বিরোধী এক গোষ্ঠী বলছে, পর্যবেক্ষকরা সিরিয়ায় যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৯০ জন নিহত হয়েছে৷ তাই আরব লিগের এই মিশন ব্যর্থ বলে মনে করছেন বিরোধীরা৷ এবং এটা স্বীকার করে নিয়ে জাতিসংঘের কাছে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে আরব লিগের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে৷ এদিকে বিদ্রোহী ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি' দলের প্রধান কর্ণেল রিয়াদ আল-আসাদ বলছেন, পর্যবেক্ষক আসার আগেই রাজনৈতিক বন্দিদের কারাগার থেকে সরিয়ে সেনাবাহিনীর ব্যারাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ কেননা পর্যবেক্ষকদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি নেই৷ এছাড়া সেনাবাহিনীর গাড়ির রঙ পরিবর্তন করা হয়েছে, যেন পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, অভিযানে সেনারা নন, অংশ নিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা৷
নিহতের সংখ্যা
গত বছরের মার্চে শুরু হওয়া আন্দোলনে জাতিসংঘের হিসেবে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ৷ তবে বিরোধীদের হিসেবে সংখ্যাটা অনেক বেশি৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক