1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরীয় সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় ধ্বংসলীলা শুরু করেছে

১৮ জুন ২০১১

দেশের মধ্যে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের মানুষ দলে দলে সীমান্ত পেরিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে৷ এবার সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় ধ্বংসলীলা শুরু করায় শরণার্থীরা সমস্যায় পড়েছে৷

https://p.dw.com/p/11enG
In this citizen journalism image made on a mobile phone and provided by Shaam News Network and with information according to them, showing a Syrian army tank deployed in the Syrian eastern province of Deir el-Zour, Syria, on Tuesday June 14, 2011. The Syrian government claimed to have thwarted cross-border weapons smuggling in the Deir el-Zour area, and human rights activist Mustafa Osso confirmed that tanks were moving in the large eastern province of Deir el-Zour, which borders Iraq, with a growing military campaign forcing many thousands of Syrians to flee from their homes. (Foto:Shaam News Network/AP/dapd) EDITORIAL USE ONLY, NO SALES, THE ASSOCIATED PRESS IS UNABLE TO INDEPENDENTLY VERIFY THE AUTHENTICITY, CONTENT, LOCATION OR DATE OF THIS HANDOUT PHOTO
ট্যাঙ্ক নিয়ে সেনাবাহিনীর হামলাছবি: dapd

শনিবার সকালে তুরস্ক সীমান্তের কাছে বদামা গ্রামে ঢুকে পড়ে সৈন্যরা৷ গ্রামটি জিসর আল শুগুর এলাকায় অবস্থিত৷ তারা অসংখ্য মানুষকে আটক করে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়৷ তাছাড়া অন্য অনেক এলাকার মতো সেখানেও সৈন্যরা ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে৷ এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৯টি সাঁজোয়া গাড়ি সহ একাধিক যান নিয়ে সকাল সাতটা নাগাদ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত ‘শাবিহা' বাহিনীর সদস্যরা গ্রামে প্রবেশ করে৷ তুরস্কে যাবার পথে শরণার্থীরা যেসব গ্রামে খাদ্য ও পানীয় পেয়ে আসছে, তার মধ্যে বদামা গ্রামও রয়েছে৷ ফলে গ্রামবাসীকে উচিত শিক্ষা দিতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে বিদ্রোহীদের ধারণা৷ সিরিয়ার মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির হিসেব অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১,৩০০ নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং প্রায় ১০,০০০ মানুষকে আটক করা হয়েছে৷ এপর্যন্ত প্রায় ১০,০০০ মানুষ তুরস্কে আশ্রয় নেওয়ার পর সেদেশের কর্তৃপক্ষ সীমান্তে কড়াকড়ি বাড়িয়ে দিয়েছে৷ আপাতত সীমিত সংখ্যক শরণার্থীকে তুরস্কে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে৷ একদল সাংবাদিক তুরস্ক সীমান্তে শরণার্থী শিবির ঘুরে দেখেছেন৷ তাদের মতে, সিরিয়ার শরণার্থীরা তুরস্কের আতিথেয়তায় বেশ সন্তুষ্ট৷

A convoy of Lebanese army vehicles patrols a street in Tripoli, on Saturday June 18 2011, where clashes broke out between Sunni and Alawite groups on Friday, after a demonstration of the anti-Syrian regime protesters in Tripoli, northern Lebanon. A senior member of a Lebanese political party allied with Syria and an off-duty soldier were killed Friday after gunmen opened fire and lobbed a grenade near hundreds of people holding an anti-Assad protest in northern Lebanon, a security official said in Beirut. (Foto:Hussein Malla/AP/dapd)
রাস্তায় ট্যাঙ্কছবি: dapd

একদিকে বিদ্রোহীদের নিপীড়ন, অন্যদিকে কিছু ছাড়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করতে চাইছে সিরিয়ার আসাদ প্রশাসন৷ যেমন আসাদের সম্পর্কের ভাই ও দুর্নীতির প্রতীক হিসেবে পরিচিত রামি মাখলুফ নিজের সম্পদ জনগণের উন্নয়নে ব্যয় করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন৷ তা সত্ত্বেও গত শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ গোটা দেশ জুড়ে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ দেখায়৷ বিরোধীদের দাবি, বিক্ষোভ এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যে নিরাপত্তা বাহিনী তা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে৷ তাছাড়া সরকার সুন্নি বিক্ষোভকারীদের দমন করতে আরও সচেষ্ট হলে সেনাবাহিনীর সুন্নি সদস্যরা বিদ্রোহ করতে পারে – এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট আসাদ ও ক্ষমতাকেন্দ্রের বেশিরভাগ ব্যক্তিই সংখ্যালঘু শিয়া আলোওয়াইট সম্প্রদায়ের সদস্য৷ প্রতিবেশী দেশ লেবাননের উত্তরে ত্রিপোলি শহরেও সুন্নি ও আলোওয়াইট সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ'এর সঙ্গে টেলিফোনে সিরিয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করেন৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার সরকারের দমন নীতির নিন্দা করে এক প্রস্তাব পেশ করার যে প্রক্রিয়া চলছে, তার প্রতি রাশিয়ার সমর্থনের জন্য ডাক দেন ক্লিন্টন৷ উল্লেখ্য, রাশিয়া ও চীন সিরিয়া সংক্রান্ত যে কোনো প্রস্তাবের বিরোধিতা করে চলেছে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি জানিয়েছেন, ফ্রান্স ও জার্মানি সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যে জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: জাহিদুল হক