সুদান : প্রাণ বাঁচাতে সুদানিরা দেশ ছেড়ে শাদে
তিন মাস ধরে যুদ্ধ চলছে সুদানে৷ সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ- এর এ যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে৷ দেশত্যাগী মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে৷ সুদান ছেড়ে পাশের দেশ চাদে আশ্রয় নিচ্ছেন স্বজন হারানো অনেক মানুষ৷ দেখুন ছবিঘরে...
৩০ লাখ মানুষ ঘরছাড়া
ইউএনএইচসিআর-এর হিসেব অনুযায়ী সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)- এর মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে এ পর্যন্ত সুদানের ৩০ লাখের মতো মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন৷ তাদের অনেকেই পাশের দেশ শাদে আশ্রয় নিয়েছেন৷ ওপরের ছবিতে সুদানের পশ্চিমাঞ্চলের দারফুর অঞ্চল থেকে চাদে আশ্রয় নেয়া এক নারী৷ কুরাংয়ের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে যুদ্ধে স্বজন হারানোর কথা বলতে গিয়ে কাঁদছেন তিনি৷
বিধবা আমানি
২০ বছর বয়সি আমানি আব্দুল্লাহ-ও নিজের দেশ ছেড়ে কুরাংয়ের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে মাথা গুঁজতে বাধ্য হয়েছেন৷ নিজে বাঁচলেও স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি৷ আরএসএফ ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে হত্যা করেছে৷ স্বামীর কথা বলার সময় আমানির চোখের জলও বাধা মানেনি৷
জার্নি বাই ট্রাক
সুদানে যুদ্ধ শুরু হয় গত এপ্রিলে৷ তারপর থেকে এভাবে ফরাসি সেনাবাহিনীর ট্রাকে চড়ে দারফুর থেকে শাদে গিয়েছেন অনেকেই৷
দারফুর থেকে আদ্রেতে
দারফুর থেকে স্ত্রী ফাতমা আব্দেলকারিমকে নিয়ে একটু আগেই শাদের আদ্রেতে পৌঁছেছেন ৮০ বছর বয়সি হারুন দাদুম৷
পরের জায়গায়’ নিজের ঘর্
আদ্রেতে পৌঁছানোর পর নিজের মাথা গোঁজার অস্থায়ী ঠাঁইটুকু নিজেই করে নিচ্ছেন আব্দুল্লাহ৷
মুর্নেই থেকে আদ্রে
দুই সন্তানের এই জননী দারফুর অঞ্চলের মুর্নেই থেকে এসেছেন শাদের আদ্রে শহরের আশ্রয়কেন্দ্রে৷
আশ্রয়হীনদের পাশে রেডক্রস
সুদান ছেড়ে আসা মানুষদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে রেডক্রস৷ ছবিতে এক শিশুকে ট্রাকে তুলে দিচ্ছেন এক রেডক্রসকর্মী৷
শিশুদের অবস্থা
যুদ্ধে শিশুদেরও খুব অসহায় অবস্থা৷ প্রাণে বাঁচলেও নিরাপদ আশ্রয় এবং পর্যাপ্ত খাবারের জন্য পরিবারের অন্যদের সঙ্গে তাদেরও ছুটতে হচ্ছে৷ ওপরের ছবিতে শাদের হাসপাতালে অপুষ্টিতে ভোগা এক সুদানী শিশু৷