সুন্দরী প্রতিযোগিতার রকমভেদ
মিস ওয়ার্ল্ড, মিস ইউনিভার্স – এসব প্রতিযোগিতার নাম আমরা সবাই জানি৷ কিন্তু এর বাইরেও যে কত ধরণের সুন্দরী প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, ছবিঘরের ছবিগুলো না দেখলে সেটা বিশ্বাসই হত না!
মিস ওয়ার্ল্ড
২৩ বছর বয়সি ফিলিপাইনের তরুণী মেগান ইয়ং ২০১৩ সালে মিস ওয়ার্ল্ড নির্বাচিত হন৷ চূড়ান্ত পর্বটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল জাকার্তায়৷ কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিবাদের মুখে হিন্দু অধ্যুষিত বালিতে ভেন্যুটি সরিয়ে নেয়া হয়েছিল৷
মিস মুসলিম ওয়ার্ল্ড
জাকার্তায় মিস ওয়ার্ল্ড হতে দেয়া না হলেও ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ‘মিস মুসলিম ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতা৷ ১৯ জন ফাইনালিস্টের দেহ গলা পর্যন্ত পোশাকে আবৃত ছিল আর মাথায় ছিল স্কার্ফ৷ ইসলাম ও কোরান সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রতিযোগীদের৷ নাইজেরিয়ার ২১ বছর বয়সি ওবাবিয়ি আয়েশা আজিবোলা তাতে প্রথম হন৷
মিস হলোকস্ট সারভাইভার
ছবির এই নারীটি ৭০ বছর আগে হলোকস্টের বা নাৎসিদের ইহুদি নিধনযজ্ঞের শিকার হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন৷ তবে মুক্তি পাননি তাঁর বাবা৷ তিনি ইসরায়েলে অনুষ্ঠিত ২০১৩ সালের ‘মিস হলোকস্ট সারভাইভার’ নির্বাচিত হয়েছেন৷ ৭০ থেকে ৯৪ বছর বয়সি প্রতিযোগীদের ‘মনের সৌন্দর্য’ বিবেচনা করে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে এক্ষেত্রে৷
মিস ল্যান্ডমাইন
নরওয়ের মোর্টেন ট্রাভিকের উদ্যোগে ল্যান্ডমাইনের আঘাতের শিকারদের নিয়ে ‘মিস ল্যান্ডমাইন’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল৷ কম্বোডিয়া আর অ্যাঙ্গোলা থেকে প্রতিযোগীরা তাতে অংশ নিয়েছিল৷ কিন্তু ২০০৯ সালে কম্বোডিয়া এ ধরণের প্রতিযোগিতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷ কারণ সে দেশের সরকার মনে করে এটা আহতদের অসম্মান করা শামিল৷
মিনি-মিস-প্যাজান্ট
আট বছরের এই দুই শিশুর সাজ দেখে মনে হচ্ছে তারা যেন বেশ তাড়াতাড়িই পরিণত বয়সের নারীতে পরিণত হচ্ছে৷ অনেক আলোচনার পর ফ্রান্সে সম্প্রতি এ ধরণের প্রতিযোগিতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷
১২৫ বছরের ইতিহাস
বেলজিয়ামের স্পা শহরে ১২৫ বছর আগে প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল৷ কিন্তু চূড়ান্ত পর্বে ফাইনালিস্টদের সাজ পোশাক দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়৷
মিস অ্যাটম
পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে সাধারণ মানুষের মনের ভয় দূর করতে ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাশিয়াতে ‘মিস অ্যাটম’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷ পরমাণু কেন্দ্রে কর্তব্যরত কর্মী ও পরমাণু বিষয় নিয়ে পড়ুয়ারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন৷
মিস হোমলেস
গৃহহীনদের সমস্যা সম্পর্কে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দাতব্য সংস্থা আর্টেফিক্সের উদ্যোগে ‘মিস হোমলেস’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা শুরু হয় ২০০৯ সাল থেকে৷ এতে যিনি বিজয়ী হতেন তাঁকে এক বছর বিনা ভাড়ায় কোথাও থাকতে দেয়া হতো৷
মিস জাম্বো কুইন
হাতি রক্ষায় থাইল্যান্ডে আয়োজন করা হয় এই প্রতিযোগিতা৷ এতে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহীদের ওজন হতে হয় কমপক্ষে ৮০ কেজি!