সোমবারই ‘সিরিজ’ পকেটে পুরতে চায় ভারত
৫ ডিসেম্বর ২০১১সোমবার মোতেরার ম্যাচটি লুফে নিতে পারলে, ইন্দোর আর চেন্নাই-এর বাকি দু'টি ম্যাচে ‘সিনিয়র'-দের মাঠের বাইরে রাখবেন সেহবাগের দল৷ আর যাঁরা মাঠের বাইরে ছিলেন, মানে যাঁরা এখনও সুযোগ পান নি – খেলবে সেই ‘জুনিয়র'-রা৷ একমাত্র এমনটা হলেই, অবশেষে নিজের কেরামতি দেখানোর একটা সুযোগ পাবেন পশ্চিম বঙ্গের অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি৷ এছাড়া, সোমবারের খেলার ঠিক পরই ঠিক করা হবে আহত প্রবীণ কুমারের জায়গায় অস্ট্রেলিয়া সফরে কে যাবেন – তাঁর নাম৷
অবশ্য সেই দৌঁড়ে তিওয়ারির থেকে বেশ খানিকটাই এগিয়ে আছেন কর্নাটকের অভিমন্যু মিঠুন৷
সে যাই হোক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে এটা যে মরণ-বাঁচন খেলা সেটা বোঝাই যাচ্ছে৷ সোমবার হেরে গেলে – সিরিজ জেতার আশা নেই তাদের৷ কিন্তু ক্যারিবিয়ানদের মূল সমস্যা হচ্ছে, প্রতি ম্যাচেই মিডল অর্ডারটি চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে এবার৷ এছাড়া, বোলিং ভালো হলেও ব্যাটিংটা প্রায় একাই টানতে হয়েছে ড্যারেন ব্র্যাভোকে৷ ব্র্যাভো খেললে তবে টিম রান পাচ্ছে৷ যদিও গত ম্যাচে টেলএন্ডারের ৬৬ বলে ৮৬ রান, তাও আবার ‘নট আউট' – ছিল এর ব্যতিক্রম৷
অন্যদিকে, সহবাগরা চাইছেন শেষ দু'টো ‘ওয়ান ডে'-র আগেই ইন্ডিজদের বধ করে অস্ট্রেলিয়া সফরের ভাবনায় ঢুকে পড়তে৷ তবে তাদের দুশ্চিন্তাও সেই ব্যাটিং নিয়েই৷ আসলে ‘ওপেনিং জুটি' নিয়ে চিন্তিত ‘টিম ইন্ডিয়া'৷ তবে মিডল অর্ডারে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মার উপস্থিতি এনে দিয়েছে এক ঝলক টাটকা বাতাস৷ আগের ম্যাচেই বিরাট সেঞ্চুরি করেছেন৷ আর ম্যাচ জিতিয়ে ৯০ রানে অপরাজিত থেকে ফিরে এসেছেন রোহিত৷ রেকর্ডের বই বলছে, ঘরের মাঠে এই নিয়ে নাকি টানা এগারোটা ম্যাচ জিতেছে ভারত৷ তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এর অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি'র কথায়, ‘‘ভারতের মাটিতে ওদের রেকর্ড অসম্ভব ভালো৷ মনে রাখতে হবে, ওরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন৷ তাই আমাদের জন্য এটা সিরিজ বাঁচানোর লড়াই ছাড়া আর কিছুই নয়৷''
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক