সৌদি নারীদের পাঁচটি ‘নিষিদ্ধ’ কাজ
সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়৷ সেখানে নারীদের অধিকার এখনো খুবই সীমিত৷ সৌদি নারীদের এমন কিছু কাজও করতে দেওয়া হয় না, যে’সবের ক্ষেত্রে আইন কোনো বাধা নয়৷
গাড়ি চালানো মানা
নারী গাড়ি চালাতে পারবে না – এমন কোনো আইন নেই সৌদি আরবে৷ তবু সেখানে নারীরা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত৷ গোঁড়ামির কারণে সমাজের অধিকাংশ মানুষ মনে করে, নারী গাড়ি চালানো শুরু করলে সমাজের সব বিধিনিষেধ অমান্য করবে৷ অনেক মুসলিম দেশের নারীও যখন বৈমানিক হচ্ছে সৌদি নারীরা তখন গাড়ি চালানোর সুযোগও পাচ্ছে না৷ ২০১১ সালে একটি নারী সংগঠন ‘উইমেন ড্রাইভিং’ নামের সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু করেছিল৷ সফল হতে পারেননি৷
একা চলাফেরা করা নিষেধ
সৌদি আরবের মেয়েরা একা কোথাও যেতে পারেন না৷ স্বামী, বাবা-মা, ভাই বা পরিবারের অন্য কোনো পুরুষ ঘরে না থাকলে মেয়েদের জন্য তখন পুরুষ দারোয়ান থাকে৷ অতি রক্ষনশীল সৌদি সমাজের অধিকাংশ মানুষ মনে করে, নারীকে একা থাকতে দিলে সে পাপের পথে পা বাড়াবে৷ এ কারণে কেনাকাটার জন্য বাইরে গেলেও সৌদি নারীর সঙ্গে পরিবারের কোনো-না-কোনো পুরুষ সদস্য থাকে৷ ইদানীং অবশ্য এ সব ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে৷
আধুনিক পোশাক এবং চড়া প্রসাধন নয়
সৌদি আরবে পর্দাপ্রথা খুব কঠিনভাবে মানা হয়৷ তাই সব নারীই বোরকা পরেন৷ সবার মুখ অবশ্য ঢাকা থাকেনা৷ তবে মুখ দেখা গেলেও নারীদের প্রসাধনী ব্যবহার করে নিজেকে খুব আকর্ষণীয় করে তোলার সুযোগ খুবই সীমিত৷ আধুনিক পোষাক পরা যায় না, একটু বেশি প্রসাধনী ব্যবহার সৌদি আরবের নারীদের জন্য এখনো স্বপ্নের মতো৷
নারী সব জায়গায় আলাদা
রক্তের সম্পর্কের পুরুষ ছাড়া নারী অন্য পুরুষের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন না৷ বেশির ভাগ ভবনে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা প্রবেশ এবং বের হওয়ার পথ রয়েছে৷ দ্য টেলিগ্রাফের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি আরবে এখনো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, পার্ক, সমুদ্র সৈকতের মতো জায়গাগুলোতেও নারী আর পুরুষের জন্য আলাদা স্থান রাখা আছে৷ অনুমতি ছাড়া নারী-পুরুষ একসঙ্গে চলাফেরা করলে নারীরই বেশি কঠোট শাস্তি হয়৷
নারী খেলাধুলা করলেও অপবাদ
নারীর খেলাধুলা করার অধিকারও খুব সীমিত৷ আন্তর্জাতিক সব প্রতিযোগিতায় এতদিন সৌদি আরব শুধু পুরষ ক্রীড়াবিদই পাঠাতো৷ লন্ডন অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো নারী প্রতিযোগী পাঠিয়েছিল সৌদি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়৷ ধর্মীয় নেতারা বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি৷ অনেক ধর্মীয় নেতার চোখেই অলিম্পিকে অংশ নেয়া নারীরা পতিতার মতো৷