হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু
২০ জুলাই ২০১২ভরা জোৎস্নায় নয়৷ শ্রাবণ মেঘের দিনে চলে গেলেন বাংলা সাহিত্যের নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ৷ একেবারে না ফেরার দেশে৷
ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করলেন ১০ মাস৷ নিউ ইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটে তাঁর পার্থিব জীবনের অবসান হল৷ শুধু একজন জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক নয়, আমরা হারালাম একজন নাট্যকার, পরিচালক এবং ব্যতিক্রমী সৃষ্টিশীল এক মানুষকে৷ যেমন বললেন আরেক শক্তিমান কথা সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক৷
হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্টি করেছেন, নির্মাণ করেছেন, দিয়েছেন নির্দেশনাও৷ নতুন ধারার চলচ্চিত্রে দেখিয়েছেন চমক আর মুন্সিয়ানা৷ বললেন আরেক নাট্যকার নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু৷
তাঁর সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা তাঁর কাছ থেকে নিয়েছেন দু'হাত ভরে৷ আর তিনিও দিয়েছেন উজাড় করে৷ এমনই বললেন জনপ্রিয় অভিনেতা ফারুক আহমেদ৷
আলী যাকের বললেন, এই অকালের দিনে হুমায়ূন তরুণদের বইয়ের পাতায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন৷
নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে তাঁর প্রথম দফা জানাজা হয়েছে৷ মরদেহ ঢাকায় আনা হবে রোববার৷ আর তাঁকে চিরনিদ্রায় শুইয়ে দেয়া হবে গাজীপুরে তাঁর নিজ হাতে গড়া প্রিয় নুহাশ পল্লিতে৷ জানালেন ঢাকায় অবস্থানরত তাঁর ছোটভাই আহসান হাবিব৷
১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর নেত্রকোনা জেলায় জন্ম নেন জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ৷ গত বছরের ১৪ই সেপ্টেম্বর তিনি ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান৷ মাঝে একবার দেশে ফিরলেও, আবারো তিনি ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে৷ বলেছিলেন ফিরে আসবেন৷ কিন্তু আর আসবেন না৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ