1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অধিকার ইস্যুতে চীন-পশ্চিম মুখোমুখি

২৩ অক্টোবর ২০২৪

জিনজিয়াং এবং তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আরো ১৩টি দেশ মঙ্গলবার জাতিসংঘে চীনের সমালোচনা করেছে৷

https://p.dw.com/p/4m9Pu
চীনে একটি মসজিদের সামনে দিয়ে দুইজন নারী মোটরবাইক চালিয়ে যাচ্ছেন
চীনে উইঘুর মুসলমানদের প্রতি নির্যাতনের জন্য পশ্চিমারা বরাবরই চীন সরকারের সমালোচনা করে আসছেন। ছবি: PEDRO PARDO/AFP/Getty Images

জবাবে চীন দেশগুলোর বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ‘নারকীয় পরিস্থিতি' উপেক্ষার অভিযোগ এনেছে৷  

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তর এবং জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে প্রায়ই উইঘুরএবং অন্যান্য মুসলমানদের সঙ্গে চীনের আচরণ নিয়ে তর্কবিতর্ক দেখা যায়৷

দুই বছর আগে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চীন জিনজিয়াং-এ উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলমানদের ‘‘নির্বিচারে এবং বৈষম্যমূলকভাবে আটক'' করছে যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে৷ এটি আরো জানিয়েছে যে, সেখানে ‘‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের'' ঘটনা ঘটেছে৷

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদেরমানবাধিকার কমিটিকে অস্ট্রেলিয়ার সেখানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জেমস লারসেন বলেন, ‘‘আমরা চীনের প্রতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাধ্যবাধকতা মানতে তাগিদ দিচ্ছি, কারণ, দেশটি তা স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছিল৷'' 

তিনি বলেন, ‘‘এসবের মধ্যে রয়েছে জিনজিয়াং এবং তীব্বতে নির্বচারে গ্রেপ্তারকৃত সকলকে মুক্তি দেয়া এবং যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের সঙ্গে কী ঘটেছে এবং তাদের বর্তমান অবস্থা তাদের পরিবারকে দ্রুত জানানো৷''

অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আইসল্যান্ড, জাপান, লিথুয়ানিয়া, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন এবং ব্রিটেনের পক্ষে এই বক্তব্য দেন জেমস লারসেন৷  

বেইজিং অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই উইঘুরদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷ জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ফু কং মঙ্গলবার পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ‘‘দ্বন্দ্ব উসকে দিতে মিথ্যার'' আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ করেছেন৷ 

তিনি বলেন, ‘‘চলতি বছর যেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতি কমিটির নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেয়া উচিত সেটি হচ্ছে গাজা৷ অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য কিছু রাষ্ট্র একদিকে যেমন সেখানকার নারকীয় পরিস্থিতির দিকে প্রয়োজনের তুলনায় কম গুরুত্ব দিচ্ছে, অন্যদিকে শান্ত এবং স্থির জিনজিয়াংয়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ করছে ও কালিমা লেপন করছে৷''

ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ মানুষ হত্যা করে এবং ২৫০ জনের মতো মানুষকে অপহরণ করে৷ জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরায়েল গাজায় হামলা চালালে ৪২ হাজার মানুষ নিহত হয় এবং ছিটমহলটির ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই বাস্তচ্যুত হন৷  

ফু জানান যে যদি গাজায় নিহতের সংখ্যা কিছু ‘‘পশ্চিমা রাষ্ট্রের বিবেক জাগ্রত না করে... তাহলে তাদের মুসলমানদের মানবাধিকার রক্ষার তথাকথিত আহ্বান সবচেয়ে বড় মিথ্যা ছাড়া আর কিছু নয়৷''

গাজায় ইসরায়েলের কর্মকান্ডের প্রতি সমর্থন জানানোয় গতমাসে জাতিসংঘের স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা অধিকাংশ পশ্চিমা রাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন৷

এআই/এসিবি (রয়টার্স)