সেল কালচার
৯ মে ২০১৪জীবজন্তু নিয়ে পরীক্ষা চলে সর্বত্র: কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, ওষুধ কোম্পানি, সামরিক বিভাগ, প্রসাধন সংস্থা, সবার এবং সব ধরনের ল্যবোরেটরিতে৷ বছরে নাকি মোট দশ কোটির বেশি মেরুদণ্ডী প্রাণীকে প্রাণ দিতে হয় পরীক্ষাগারে৷ এ হিসেবে আবার ইঁদুর, পাখি, মাছ বা ব্যাঙ জাতীয় জীবদের ধরা হয় না৷ এছাড়া গোটা প্রক্রিয়াটির নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে৷
ব্রিটিশ রয়াল সোসাইটি বলে, চিকিৎসা কিংবা ভেষজের ক্ষেত্রে বিংশ শতাব্দীর প্রতিটি বড় আবিষ্কারের পিছনে ছিল অ্যানিমাল টেস্টিং৷ মার্কিন ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস বলে, জীববিদ্যা, রসায়ন ও পরিবেশের সম্পর্ক এতই গূঢ় ও জটিল যে, কম্পিউটার সিমিউলেশন করেও তা বোঝা সম্ভব নয়৷ তাই জীবজন্তুর ওপর, শেষমেষ মানুষের উপর পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন৷
কিন্তু মানুষের উপর সরাসরি পীক্ষার ঝুঁকি না নিয়ে যদি মানবকোষের উপর পরীক্ষা করে দেখা যায়? এই সেল কালচার বস্তুত দু'পক্ষেরই দাবি মেটাতে সক্ষম৷ মানবকোষের উপর প্রত্যক্ষ পরীক্ষা করে ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে, কাজেই বিজ্ঞানী-গবেষকরা খুশি৷ অন্যদিকে অ্যানিমাল টেস্টিং বিরোধীদের যে মূল যুক্তি, যে সব সত্ত্বেও জীব ও মানুষের মধ্যে প্রজাতির ফারাক থেকে যাচ্ছে, সে যুক্তিরও জবাব দিচ্ছে সেল কালচার৷
অবশ্য সেল কালচারের কল্যাণে অ্যানিমাল টেস্টিং উঠে যাবে, এতটা আশা না করাই ভালো৷ কারণ কোষ কোষই, তা পূর্ণাঙ্গ জীবের স্থান নিতে পারে না, বিকল্প হতে পারে না৷ কাজেই জীব থেকে জীব, প্রজাতি থেকে প্রজাতির পরবর্তী পদক্ষেপটা কোনো না কোনোভাবে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি৷