সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম রাশেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘‘শুধু বাইডেন নয়, অন্য রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে ড. ইউনূসের যে বৈঠক হয়েছে তাতেও স্পষ্ট যে, সারা বিশ্বের সমর্থন আছে তার ও তার সরকারের প্রতি৷ এখন অ্যামেরিকা ও ইউরোপ সমানভাবে ইউনূসের সঙ্গে আছেন৷ সেটা কতটা দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগানো যায় সেটাই দেখার বিষয়৷''
তিনি বলেন, ‘‘দেশের অর্থনীতিতে পোশাক খাতের একটা বড় অবদান আছে৷ যুক্তরাষ্ট্র একক দেশ হিসাবে আমাদের তৈরি পোশাকের বড় ক্রেতা৷ ইউরোপে আমাদের বড় বাজার৷ এই বাজারগুলোতে আমাদের অবস্থান আরো শক্ত করতে হবে৷ আর বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ আছে৷''
তার কথা, ‘‘বাংলাদেশ নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে৷ পোশাক খাত নিয়েও হচ্ছে৷ আঞ্চলিক রাজনীতিতেও সেটা আছে৷ তবে মার্কিন ও ইউরোপের এই সমর্থনে বাংলাদেশ সেটা কাটিয়ে উঠবে আশা করি৷''
সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম রাশেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘‘অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের এত সমর্থন বাংলাদেশ কখনো পায়নি৷ জো বাইডেনের যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ড. ইউনূসের সঙ্গে, তা অনবদ্য৷ এটা বলে দেয় তার এগিয়ে যাওয়ার পথে সব ধরনের সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র৷''
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস৷ সেটি হয়নি৷ এটাকে রাশেদ আহমেদ চৌধুরী দেখছেন মোদীর হীনমন্যতা হিসাবে৷ তিনি বলেন, ‘‘মোদী সরকার পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ন্যাক্কারজনকভাবে সমর্থন দিয়েছিল৷ এখন আবার আশ্রয় দিয়েছে৷ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করলে এই বিষয়গুলো উঠতো ভেবেই হয়তো মোদী ইউনূসকে সাক্ষাতের সময় দেননি৷ আবার এও হতে পারে যে, ভারত এখনো চাইছে তার দাদাগিরি ধরে রাখতে৷ কিন্তু তাতে ভারত আর সফল হবে বলে মনে হয় না৷''