1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচার শুরু

৩০ জানুয়ারি ২০১৮

নির্বাচন হবে ডিসেম্বরে৷ সেই জাতীয় নির্বাচনের প্রায় এক বছর বাকি থাকতেই নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছে আওয়ামী লীগ৷ অন্যদিকে বিএনপি ব্যস্ত  মামলায়৷ মঙ্গলবারও দলের চেয়ারপার্সন দুর্নীতির মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/2rlyl
Bangladesch Sheikh Hasina im Flüchtlingslager Kutupalong
ছবি: picture-alliance/AP/S. Kallol

প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সিলেট থেকে তাদের নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছেন৷ মঙ্গলবার বিকালে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি বলেন, ‘‘আজ থেকে নির্বাচনের অনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হলো৷ আগামী ডিসেম্বরে যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে আমরা আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই৷ নৌকা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, নৌকা সমৃদ্ধির পথ দেখিয়েছে৷ নৌকা উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে৷ আপনারা হাত তুলে ওয়াদা করেন যে নৌকায় ভোট দেবেন৷''

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘আপনারা সচেতন থাকবেন, সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ-দুর্নীতির স্থান বাংলার মাটিতে নেই৷’'

মাহবুবুল আলম হানিফ

বিএনপির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘গত নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি৷ বরং তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছিল৷ বর্তমানে বিএনপি-জামায়াত সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ ২০০১ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাত দেশে সন্ত্রাস ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে৷ জ্বালাও-পোড়াও-অগ্নি-সন্ত্রাস চালিয়েছে৷ তাদের সময়েই দেশে জঙ্গিবাদের উদ্ভব হয়৷ বিএনপি-জামায়াতের সময় দেশে যে উন্নয়ন হয় না, তা বিগত সময়ে আপনারা দেখেছেন৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশে উন্নয়ন হয়৷''

সিলেটে আনুষ্ঠানিক  নির্বাচনি প্রচার শুরুর আগে সেখানে পৌঁছে তিনি হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজারসহ তিন পিরের মাজার জিয়ারত করেন৷ তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ পর্যায়ের সব নেতা সেখনে ছিলেন৷ এছাড়া শেখ হাসিনা নির্বাচনি ক্যাম্পেরও উদ্বোধন করেন৷

সিলেটে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচনি প্রচারের পরিকল্পনা আগেই করেছি৷ কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৫টি টিম করা হয়েছে৷ এখন তারা বিভাগ ও জেলায় জেলায় সফর করবেন, জনসভা করবেন৷ এই সফরের উদ্দেশ্য হলো তিনটি৷ আওয়ামী লীগের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা৷ দলের স্থানীয় পর্যায়ের কোন্দল নিরসন এবং বিএনপি -জামায়াতের নৈরাজ্য তুলে ধরা৷ দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখে আগামী নির্বাচনে শতভাগ জয় লাভই আমাদের উদ্দেশ্য৷''

সামসুজ্জামান দুদু

তিনি আরো বলেরন, ‘‘এই বছরব্যাপী নির্বাচনি প্রচারণা এখন থেকে তৃণমুলেও শুরু হবে৷ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন সব পর্যায়ে৷''

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এটাই হলো প্রহসন৷ নির্বচানের এক বছর বাকি৷ এখানো কোনো খবর নাই আর প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছেন৷ বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন৷ আজও (মঙ্গলবার ) তিনি আদালতে হাজিরা দিয়েছেন৷ সারাদেশে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা দেয়া হয়েছে৷ বিএনপি মামলায় জর্জরিত৷''

তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ যে পথে এগোচ্ছে, তা দেখে মনে হচ্ছে আগামী নির্বাচন ২০১৪ সালের নির্বাচনের চেয়েও খারাপ হবে৷ তারা সেই পরিকল্পনা করছে৷''

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড তো বহু দূরে, সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনাই দেখছি না৷''

‘বিএনপি এখন মামলা-মোকদ্দমা মোকাবেলা করা নিয়েই ব্যস্ত’

রাজনীতির বিশ্লেষক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবেই আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছেন৷ হঠাৎ করে নয়৷ তাঁর দল আওয়ামী লীগ আগে থেকেই নির্বাচনি প্রচার শুরু করার কথা বলে আসছিল৷ শেখ হাসিনা দল এবং দেশকে এখন নির্বাচনমুখী করতে চাইছেন৷ এর একটা সুবিধা আওয়ামী লীগ পাবে৷''

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘বিএনপি এখন মামলা-মোকদ্দমা মোকাবেলা করা নিয়েই ব্যস্ত৷ তারা নির্বাচনের মাঠে নেই বললেই চলে৷ ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায় কী হয়, তার জন্য হয়ত অপেক্ষা করছে৷ তাছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে এখনো সন্দিহান বলেই আমার মনে হয়৷''

তাঁর কথায়, ‘‘বিএনপিকে নির্বাচনের মাঠে নামতে হবে৷ দোদুল্যমান থাকলে তার ফল আওয়ামী লীগের ঘরেই যাবে৷  খালেদা জিয়ার যদি জেল হয়, তারপরও বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত৷ আর এখন থেকেই তাদের সারাদেশে নির্বচনি প্রচার শুরু করা উচিত৷ খালেদা জিয়া না থাকতে পারলেও নেতাদের সারাদেশে ঘুরে ঘুরে কর্মীদের চাঙ্গা করা উচিত৷ সরকারের বিরোধিতার যুক্তি তুলে ধরা উচিত৷ ঘরে বসে থাকলে হবে না৷ ঘরে বসে ভোট পাওয়া যায় না৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান