আরব লিগের সময়সীমা আবারও লঙ্ঘন করল সিরিয়া
৪ ডিসেম্বর ২০১১কিন্তু কেন? এ ব্যাপারে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেম কিছুদিন আগে বলেছিলেন, আরব লিগ চুক্তির যে খসড়া পাঠিয়েছে সেটা সিরিয়ার স্বাধীনতাকে খর্ব করে৷ সিরিয়ার এমন জবাবে গত সপ্তাহে আরব লিগ দেশটির উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল৷ এই প্রথম আরব লিগ তার কোনো সদস্যের উপর এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷ ফলে সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সব ধরণের লেনদেন বন্ধের ঘোষণা দেয় আরব লিগ৷ এছাড়া প্রেসিডেন্ট আসাদের সহযোগী ১৯ ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও আরব দেশগুলোতে তাদের ভ্রমণের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করে আরব লিগ৷ শনিবার লিগের মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে এই ১৯ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং সেইসঙ্গে চুক্তি সই করতে আজ শেষ সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়৷ কিন্তু বার্তা সংস্থা এএফপি কাতারের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, চুক্তি স্বাক্ষর করতে সিরিয়া থেকে কাতারে কোনো কর্মকর্তা আসছেনা৷ বরং তারা চুক্তির খসড়ায় আরও সংশোধন করতে বলেছে, যেটা আরব মন্ত্রীরা প্রত্যাখ্যান করেছে৷
প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে
প্রথমবার সময়সীমা না মানায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আরব লিগ৷ আজকের সময়সীমা না মানার প্রতিক্রিয়া ঠিক কী হতে পারে সেটা নির্দিষ্ট করে না বললেও কাতারের প্রধানমন্ত্রী শনিবারের আরব লিগের বৈঠকেই বলেছিলেন যে, দ্বিতীয়বারের মতো সময়সীমা লঙ্ঘন করলে সিরিয়ার ব্যাপারে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি
সিরিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলনে গতমাসে সবচেয়ে বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে বিরোধী সংগঠনগুলো৷ তারা বলছে মার্চে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর গতমাস অর্থাৎ নভেম্বরে প্রায় সাড়ে নয়শো লোক নিহত হয়েছে৷ এদিকে গতকাল শনিবার নিহত হয়েছে কমপক্ষে ২৩ জন৷ তবে এতদিন শান্তিপূর্ণ মিছিলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে লোক নিহতের ঘটনা ঘটলেও এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে৷ কেননা গতকাল সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করা সৈন্য ও সশস্ত্র জনতা সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল৷ উল্লেখ্য, জাতিসংঘের হিসেবে এখন পর্যন্ত সিরিয়া প্রায় চার হাজার লোক নিহত হয়েছে৷ আর প্রায় সাড়ে বার হাজার লোক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম