1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ফুটবলফ্রান্স

ইউরো কাপে রোনাল্ডোর কান্না এবং ফর্মে না থাকা এমবাপ্পে

২ জুলাই ২০২৪

পোনাল্টি মিস করে কান্না রোনাল্ডোর, পরে টাইব্রেকারে গোল করলেন। অন্য ম্যাচে এমবাপেকে পুরনো ফর্মে পাওয়া গেলো না।

https://p.dw.com/p/4hl2T
পেনাল্টি মিস করে কান্নায় ভেঙে পড়া রোনাল্ডোকে সামলাচ্ছেন দলের সহ-খেলোয়াড়রা।
পেনাল্টি মিস করে রোনাল্ডোর চোখে জল। ছবি: Justin Setterfield/Getty Images

পর্তুগাল ও ফ্রান্স ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো। কিন্তু দুই দলের তারকা ফুটবলার রোনাল্ডো এবং এমবাপ্পে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। পর্তুগাল টাইব্রেকারে গোলরক্ষক দিয়োগো কোস্তার সৌজন্যে স্লোভেনিয়াকে হারালো। আর বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ফ্রান্স জিতলো আত্মঘাতী গোলে। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স ও পর্তুগালের খেলা হবে।

রোনাল্ডোর কান্না

অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। সেটা মারতে যান রোনাল্ডো।  তার শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন স্লোভেনিয়ার গোলরক্ষক। সেই পেনাল্টি মিস করে কাঁদতে থাকেন রোনাল্ডো। পরে অবশ্য টাইব্রেকারে গোল করতে ভুল করেননি তিনি। কান্নার পর হাসি দেখা যায় তার মুখে।

স্লোভেনিয়ার ম্যাচে টাইব্রেকারে গোল করার পর রোনাল্ডো।
টাইব্রেকারে গোল দেয়ার পর রোনাল্ডো। ক্ষমা চাইছেন পেনাল্টি মিসের জন্য। ছবি: Justin Setterfield/Getty Images

রোনাল্ডো এদিন পুরো সময় মাঠে ছিলেন। খেলা ১২০ মিনিট গড়ালেও তিনি মাঠে ছিলেন। রোনাল্ডোকে পুরো সময় কড়া নজরদারিতে রেখেছিল স্লোভেনিয়া। পর্তুগাল সুবিধাজনক জায়গায় চারটি ফ্রিকিক পেয়েছিল। রোনাল্ডো গোল করতে পারেননি। তার একটি হেড সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে চলে যায়।

পর্তুগাল শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের অধিকাংশ আক্রমণই বক্সের কাছে গিয়ে থেমে যাচ্ছিল। রোনাল্ডোরা অনেক চেষ্টা করেও রক্ষণ ভাঙতে পারছিলেন না।

স্লোভেনিয়াও সমানে লড়াই করেছে। তবে তারাও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। ১২৫ মিনিটের মাথায় দিনের সহজতম সুযোগও তারা কাজে লাগাতে পারেনি। কোস্তা বাঁচিয়ে দেন।

টাইব্রেকারে কোস্তা স্লোভেনিয়ার তিনটি শট বাঁচিয়ে দিয়ে টিমকে ফাইনালে তোলেন।

বেলজিয়ামের দুই ফুটবলারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকছেন এমবাপে।
বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে এমবাপে তার পুরনো ফর্মে ছিলেন না। ছবি: Marcus Brandt/dpa/picture alliance

এমবাপের খেলা

ফ্রান্স ও বেলজিয়াম ইউরোপ তথা বিশ্ব ফুটবলে শক্তিশালী দল বলে পরিচিত। তাদের খেলায় উত্তেজনা, স্কিল, গতি থাকার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে সাধারণ মানের খেলা হলো।

বেলজিয়াম দুইটি ভালো সুয়োগ পেয়েছিল। কিন্তু লুকাকু ও ব্রুইন তা নষ্ট করেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করেন ভারটঙ্গান। সেই গোলেই এবারের মতো ইউরো থেকে বিদায় বেলজিয়ামের।

এমবাপ্পে এদিনও ফেস গার্ড পরে খেলেছেন। নাকে আঘাতের পর হয়ত তিনি একটু সতর্ক ছিলেন। বার দুয়েক তার স্কিলের পরিচয় দিয়ে একাধিক প্লেয়ারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পাস দিয়েছিলেন। নিজে শটও নিয়েছিলেন, তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কিন্তু পুরনো ফর্মে সেই ভয়ংকর এমবাপেকে দেখা যায়নি। 

ফেস গার্ড পরে খেলতে নেমেছিলেন এমবাপে।
বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে গোল করতে পারেননি এমবাপে। ছবি: Marius Becker/dpa/picture alliance

প্রথম দিকে দুই দলই সতর্কভাবে শুরু করে এবং মাঝমাঠের দখল নিতে চায়। ফ্রান্স নিজেদের মধ্যে পাস খেলে দূর থেকে শট মেরে গোল করার কৌশল নিয়েছিল। কিন্তু তাদের শট বেশিরভাগ সময়েই তিনকাঠির মধ্যে থাকছিল না। বার ও পোস্টের পাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। শেষপর্যন্ত তারা জিতলেও মন ভরাতে পারেনি।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)