1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্কটিশ ভোট কি ছোঁয়াচে?

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪

ইউরোপে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের অভাব নেই৷ স্পেনে কাটালান কিংবা বাস্করা; ইটালির ভেনেতো অঞ্চল; বেলজিয়ামে ফ্লেমিশরা কিংবা বলকানে বসনীয় সার্বরা – সকলেই চায় আলাদা হতে৷ কিন্তু তার সম্ভাবনা কতটা?

https://p.dw.com/p/1DFFy
Schottland Unabhängigkeit von Großbritannien
ছবি: picture-alliance/dpa

বার্সেলোনায় গত সপ্তাহে বিশ লাখ মানুষ দু'টি রাজপথ জুড়ে একটি ‘ভি' বিজয়চিহ্ন তৈরি করেন৷ কাটালোনিয়া প্রদেশের হলুদ-লাল রঙের জোয়ারে কিন্তু মাঝে মাঝে স্কটল্যান্ডের পতাকাও দেখা গেছে৷ কাটালানদের স্বাধীনতার প্রয়াস আজ থেকে নয় এবং গত পাঁচ বছরে তার তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ কিন্তু স্কটিশ গণভোট থেকে কাটালানরা যে নতুন প্রেরণা পেয়েছে, তা অনস্বীকার্য৷

কাটালান (বানানভেদে ক্যাটালান) রাজনীতিকরা ৯ই নভেম্বর অনুরূপ একটি গণভোটের ডাক দিয়েছেন৷ ভোটে দু'টি প্রশ্ন থাকবে: আপনি কি চান যে, কাটালোনিয়া একটি রাষ্ট্র হোক? তা যদি হয়, তাহলে সেই রাষ্ট্র কি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে? স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখয়-এর দৃষ্টিতে কাটালানদের ভোট অবৈধ হবে – এবং তিনি ব্যাপারটা দেশের সাংবিধানিক আদালতের সামনে তুলে ধরবেন, বলে জানিয়েছেন রাখয়৷ আদালতে ফেডারাল সরকারের জয় প্রায় নিশ্চিত – কিন্তু তা বলে কাটালান অঞ্চলে স্বাধীনতার জন্য যে জনসমর্থন সৃষ্টি হয়েছে, সেটাকে তো পুরোপুরি উপেক্ষা করা চলে না৷ বলতে কি, কাটালানদের কাছে ব্রিটেন প্রকৃত গণতন্ত্রের নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে, কেননা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সাংবিধানিক বেড়া সরিয়ে স্কটল্যান্ডের জনগণকে গণভোটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভাজনরেখার কোনো অভাব নেই, কিন্তু সেই বিভাজন থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত যেতে হলে, আগে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বাস্তব সত্যগুলোর কথা স্মরণ করতে হবে৷ স্পেনের বাস্ক প্রদেশের রক্তাক্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের কথা আপাতত বাদ রাখলেও, ইটালির ভেনেতো প্রদেশের কথা বলা যেতে পারে, যার মুকুটমণি হলো ভেনিস৷ গত মার্চের একটি অনলাইন ভোটে ৮৯ শতাংশ ভোটার ভেনেতোর স্বাধীনতার সপক্ষে ভোট দেন৷

বেলজিয়োমের ফ্ল্যান্ডার্স অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন হবার প্রয়াস বহুদিনের৷ কিন্তু বেলজিয়ামের রাজনৈতিক দলগুলি সরকারগঠন সম্পর্কে একমত হতে না পারার কারণে দেশটি ১৮ মাস ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তাঁবে ছিল, এবং গত মে মাসে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও আজও সরকারগঠন করতে পারেনি৷ এই পরিস্থিতিতে বস্তুত একক অঞ্চলগুলিই শাসন চালাচ্ছে৷ মজার কথা, তার ফলে ফ্লেমিশরা উপলব্ধি করেছে যে, তাদের বিশেষ স্বার্থগুলি যেমন আঞ্চলিক, তেমনই ইইউ পর্যায়ে রক্ষার ব্যবস্থা করা যায় – স্বাধীনতার পথে না গিয়েই৷ যা থেকে প্রমাণ হয় যে, অনেক ক্ষেত্রে ইউরোপের ‘স্বাধীনতা আন্দোলন'-গুলি যতটা না পৃথক হতে চায়, তার চাইতেও বেশি চায় যে, তাদের স্থানীয় স্বার্থ, আশা-আকাঙ্খাগুলি আরো বেশিভাবে প্রতিফলিত হোক৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য