ইরানে ফুটবলারের পরিবার যেতে পারল না দুবাই
২৭ ডিসেম্বর ২০২২সোমবার ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে দুবাইয়ের বিমান ধরেছিলেন আলির স্ত্রী এবং মেয়ে। বিমান ছেড়ে দেয়ার পর মাঝ আকাশে কোনো ঘোষণা না করে যাত্রাপথ বদল করা হয়। কিশ দ্বীপে প্লেনটি নামানো হয়। বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় আলির স্ত্রী এবং মেয়েকে। কেন তারা বিদেশে যাচ্ছিলেন, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আলি জানিয়েছেন, স্ত্রী এবং মেয়ের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাদের শেষপর্যন্ত দুবাই যেতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, আলি এবং তার স্ত্রী সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
বস্তুত, এর আগে আলির পাসপোর্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ২২ বছরের জিনা মাহসা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হওয়ার পর গোটা ইরানজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। বহু বিখ্যাত ব্যক্তি সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। আলিও সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সরকারের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত। সমস্যার সমাধান করা উচিত। শক্তি প্রয়োগ করা উচিত হচ্ছে না।
এরপরেই আলির পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে অবশ্য তা ফেরত দেওয়া হয়। তার রেস্তোরাঁ এবং গয়নার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইরানের সরকারপন্থি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, আলির স্ত্রীর বিরুদ্ধেও আন্দোলনকারীদের সমর্থনের অভিযোগ আছে। সরকারকে না জানিয়ে তারও বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। সে কারণেই তাকে বিমান থেকে নামানো হয়েছে।
সরকার দমনমূলক নীতি নিলেও ইরানের আন্দোলন সমানতালে চলছে। প্রতিদিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সাহিত্য, সংগীত, খেলাধূলা-সহ বিভিন্ন অংশের বিশিষ্ট মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে তাদের উপরেও শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে। আলির পরিবারের সঙ্গে সম্প্রতি সেই ঘটনাই ঘটেছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এফপি)