1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইরান

ইরানের রাস্তায় ড্রেস কোড দেখতে আবার নীতি পুলিশ

১৭ জুলাই ২০২৩

মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর অনেক মেয়েই হিজাব পরছিল না। কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানালো, রাস্তায় নামছে নীতি পুলিশ।

https://p.dw.com/p/4Tyku
মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে অনেক নারীই হিজাব পরছিলেন না।
মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে অনেক নারীই হিজাব পরছিলেন না। ছবি: Arne Immanuel Bänsch/dpa/picture alliance

প্রকাশ্য জায়গায় মেয়েদের মাথায় হিজাব পরতেই হবে। নাহলে নীতি পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। ইরানে জানিয়ে দিলো পুলিশ। রোববারই ভ্যানে করে পুরুষ ও নারী নীতি পুলিশকে তেহরানে টহল দিতে দেখা গেছে।

পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নীতি পুলিশের সদস্যরা গাড়িতে এবং হেঁটে রাস্তায় ঘুরবেন। ড্রেস কোড মানা না হলে তারা সাবধান করে দেবেন, প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবেন। যারা আইন ভাঙবেন, তাদের ধরে বিচারবিভাগের কাছে পেশ করা হবে।

মাহসা আমিনির মৃত্যুর দশ মাস পরে এই নির্দেশ এলো। ড্রেস কোড অমান্য করায় মাহসাকে পুলিশ ধরেছিল এবং তাদের হেফাজতে থাকার সময় মাহসার মৃত্যু হয়। তারপরই ইরান-জুড়ে প্রবল বিক্ষোভ

হয়। রীতিমতো শক্তিপ্রয়োগ করে বিক্ষোভ থামানো হয়।  পাঁচশজন মারা যান। ২০ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপরেও মেয়েরা নীরব প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। গত প্রায় দশ মাস নীতি পুলিশকে রাস্তায় দেখা যায়নি। এমনকী এরকমও রটেছিল,  নীতি পুলিশের আর কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে সরকার বারবার জানিয়েছিল, ড্রেস কোড বদলায়নি। হিসাব পরাটা বাধ্যতামূলক। এবার আবার নীতি পুলিশের নজরদারি শুরু হলো।

১৯৭৯ সালে এই ড্রেস কোড চালু করা হয়। তা ভঙ্গ করলে জরিমানা দিতে হবে, দুই মাস পর্যন্ত জেলও হতে পারে।

এখন ইরানে অনেকেই এই ড্রেস কোডের বদল চাইছেন।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)