1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উচ্চহারে টিকা দিয়েও সীমান্ত খুলতে পারছে না চীন

১৬ জুন ২০২১

খুব তাড়াতাড়ি বহির্বিশ্বের জন্য দেশকে উন্মুক্ত করতে আগের তুলনায় তিনগুণ টিকা দিচ্ছে চীন৷ টিকার সংখ্যাও বাড়িয়েছে৷ কিন্তু সব অঞ্চলে সমান হারে টিকা দেয়া যাচ্ছে না বলে সংকট কাটছে না৷

https://p.dw.com/p/3v1wM
Guangdong, China | Neue Coronavirus Fälle
ছবি: picture alliance/dpa/HPIC

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হলেও ইতিমধ্যে অন্তত ৪৪ ভাগ নাগরিককে করোনা টিকার অন্তত একটি ডোজ দিতে পেরেছে চীন৷ দৈনিক টিকা দেয়ার হারও বেড়েছে অনেক৷ গত এপ্রিলে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৪৮ লাখ মানুষকে একটা করে ডোজ দেয়া হয়েছিল, চলতি মাসে (জুন) তা বেড়ে হয়েছে এক কোটি ৭৩ লাখ৷ শুধু তাই নয়, সম্প্রতি স্থানীয়ভাবে তৈরি আরো তিনটি টিকা যোগ করে জনগণকে সাত ধরনের টিকা দেয়া শুরু করেছে সরকার৷ অর্থাৎ, চীনের জনগণের

 জন্য একটা-দুটো নয়- সাত ধরনের টিকার মধ্যে যে কোনো একটি নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার৷

এত উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য আগামী বছর চীনে অনুষ্ঠেয় শীতকালীন অলিম্পিকের আগে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনা৷

সেই লক্ষ্যে দেশের সীমান্ত ধীরে ধীরে খুলে দেয়ার কথাও ভাবা হয়েছিল৷ কিন্তু সীমান্ত খোলার আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে খুলে দিতে গিয়েই দেখা দিচ্ছে সমস্যা৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখন তা করলে আবার নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো শুরু হতে পারে৷ তাদের মনে এমন শঙ্কার জন্ম দিয়েছে সব অঞ্চলে সমানহারে টিকা দেয়ায় ব্যর্থতা৷

Archivbild I China I Tiananmen I Studentenproteste 1989
ছবি: Mark Avery/AP/picture alliance

দেখা গেছে, জুনের প্রথম সপ্তাহে বেইজিং এবং সাংহাইয়ে যেখানে যথাক্রমে ৭০ এবং ৫০ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে, সেখানে ছোট দুই শহর গুয়াংদং এবং শাংদং-এ ২০ ভাগ মানুষকেও টিকা দেয়া যায়নি৷ তাই কিছু এলাকায় টিকার দুই ডোজ দেয়া দ্রুত শেষ হলেও, কিছু এলাকায় সেই সাফল্য আসবে বেশ দেরিতে৷ ফলে সব অঞ্চলে সবার অবাধে যাতায়াত শুরু হলে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকবেই৷

চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক ফেং জিজিয়ান মনে করেন, বিশাল দেশ চীনের জনসংখ্যাও বিপুল বলে সব বিষয়ে সতর্ক না হলে সংকট আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল৷

সম্প্রতি ব্রিটেন আর চিলি দৈনিক সর্বোচ্চ হারে টিকা দিয়ে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল৷ ফলে দেশ দুটি স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি শিথিল করতেও দেরি করেনি৷ তাতে নতুন করে সংকট দেখা দেয় দেশ দুটিতে৷ ইউরোপের দেশ ব্রিটেন আর দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশ চিলিকে তাই এখন করোনার নতুন প্রকোপ ঠেকাতে লড়তে হচ্ছে৷

চীনের সামনে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সময়োপযোগী সব সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ দেশের আরেক উদাহরণ জাপান৷ তারা টোকিও অলিম্পিক এক বছর পর বিদেশি দর্শক ছাড়া কতটা সফলভাবে আয়োজন করতে পারে তা দেখার জন্য কৌতূহল নিয়ে অপেক্ষায় চীন৷

এসিবি/কেএম (রয়টার্স)