উত্তরবঙ্গে সংঘর্ষ, রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি বিজেপির
৮ ডিসেম্বর ২০২০পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ফলে রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া এখন আর কোনো উপায় নেই। কৈলাসের দাবি নিয়ে অবশ্য দলের মধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্যের নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ভোটের আগে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে তৃণমূলকে 'শহিদ' বানাতে চায় না বিজেপি। ভোটে এমনিই হারবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
সোমবার 'উত্তরকন্যা অভিযান' ছিল বিজেপির। উত্তরবঙ্গে বিশাল মিছিল এবং জনসভার আয়োজন করেছিল রাজ্য দল। কিন্তু সোমবার বিকেলে সেই মিছিল এবং সভা ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। মিছিল আটকাতে পুলিশ লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। অভিযোগ, বিজেপির মিছিল থেকেও পাল্টা আক্রমণ করা হয় পুলিশকে। এরই মধ্যে বিজেপির এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই কর্মীর। যদিও পুলিশ গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
এই পরিস্থিতিতে কৈলাস বলেন, কেন্দ্রের কাছে রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি জানাবেন তিনি। এর আগেও বিজেপির বেশ কিছু নেতা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। অন্য দিকে, সোমবার রাতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানিয়েছেন তাঁরা।
তৃণমূলের অবশ্য দাবি, পুলিশের গুলিতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়নি। সোমবারের ঘটনার জন্য বিজেপিকেই তারা দায়ী করেছে। তৃণমূল নেতা সৌগত রায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''যে কোনো মৃত্যুই দুঃখের। তবে ওই বিজেপি কর্মীর কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।'' তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘বর্গী এল দেশে। বর্গীরা উত্তরবঙ্গে লুঠতরাজ, গুন্ডামি করতে গিয়েছিল। পুলিশ আটকেছে। এতে রাষ্ট্রপতি শাসন হয় না।''
এ দিকে সোমবারের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। জায়গায় জায়গায় পথ অবরোধ করা হচ্ছে। কৃষকদের ডাকে মঙ্গলবার দেশ জুড়ে বনধ-হরতাল শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও তার প্রভাব পড়েছে। তারই মধ্যে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচির জেরে বহু রাস্তায় যানজট। সকালের দিকে রেল চলাচলেও সাময়িক বিঘ্ন ঘটেছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)