1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঋণ আর মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির উদ্বেগের কারণ

৭ জুলাই ২০২১

বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে মূল্যস্ফীতি বা জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরা৷ সেই সঙ্গে ঋণের বহর আর করোনার ধাক্কা সামলানোও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে থাকবে৷

https://p.dw.com/p/3w9VS
সুইস বিনিয়োগকারী ব্যাংক ইউবিএস
সুইস বিনিয়োগকারী ব্যাংক ইউবিএস বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে কথা বলেছেছবি: picture-alliance/dpa/Dycj/Imaginechina

সামনের দিনে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী হতে যাচ্ছে, এমন প্রশ্ন সামনে রেখে প্রতি বছর  জরিপ চালিয়ে আসছে বহুজাতিক সুইস বিনিয়োগকারী ব্যাংক ইউবিএস৷ চলতি বছরও বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপকদের কাছে সেই প্রশ্ন রেখেছিল তারা৷ জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫৭ ভাগই মূল্যস্ফীতি ও জমতে থাকা দীর্ঘমেয়াদী ঋণের চাপকে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন৷

৭৯ শতাংশ করোনা মহামারি রোধের ব্যর্থতা ও ৭১ শতাংশ মাত্রা ছাড়ানো সরকারি ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ টিকা আশা দেখালেও জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকই ২০২২ সালের পরে মহামারির ইতি ঘটার সম্ভাবনা দেখছেন৷ এপ্রিল থেকে জুনে পরিচালিত এই জরিপে বিশ্বের ৩০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ব্যবস্থাপকেরা অংশ নেন৷

জরিপ পরিচালনাকারী ইউবিএস এর স্ট্র্যাটেজি বিভাগের প্রধান ম্যাসিমিলয়ানো কাসটেলি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য মূল্যস্ফীতি আবারও উদ্বেগের শীর্ষে উঠে এসেছে৷ তবে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির এই আশঙ্কা মাত্রা ছাড়ানো হবে না এবং ক্ষণস্থায়ী হবে বলে আশা করা যাচ্ছে৷

জরিপে দুই-তৃতীয়াংশ ব্যবস্থাপক আশা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ২০২৩ সালে গিয়ে নীতিনির্ধারণী সুদের হার বাড়াবে৷ অন্যদিকে ২০২২ সালেই তা হতে পারে বলে মনে করেন ৩০ শতাংশ৷ 

ইউরোপীয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে প্রথম দফা সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছেন ৩৩ শতাংশ৷ ৪১ শতাংশ আশা করছেন সেটি ২০২৪ সালে হতে পারে৷ বাকিরা মনে করেন তারও পরে গিয়ে সুদের হার বাড়াবে ইসিবি৷

আগামী তিন বছরের মধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার জন্য ডিজিটাল মুদ্রা চালু করতে পারে বলে মনে করছেন ৪০ শতাংশ ব্যাংকার৷

এফএস/কেএম (রয়টার্স)