এমপি খুন নিয়ে পুলিশের ‘অতি উৎসাহ’ ও কিছু প্রশ্ন
২৪ মে ২০২৪এবারের পর্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ৷
অনুষ্ঠানে সঞ্চালক প্রশ্ন করেন যে তেমনভাবে কোনো নিশ্চিত তথ্যপ্রমাণ বা নিহতের মৃতদেহ পুলিশ খুঁজে না পেলেও কীসের ভিত্তিতে ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশের পুলিশই বলছেন যে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার খুন হয়েছেন? কেন দুই দেশের পুলিশের এই ‘অতি উৎসাহ'?, প্রশ্ন করেন খালেদ মুহিউদ্দীন৷
জবাবে ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ, যিনি ঘটনার খবর প্রকাশের দিন কলকাতায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন, বলেন, ‘‘খুবই অস্বাভাবিক এটি৷ যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা যথেষ্ট নিরাপদ পাড়া, সিসিটিভি রয়েছে, মেন গেটে রক্ষী রয়েছেন৷ আমি সেদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ পৌঁছাই৷ ততক্ষণে ঢাকার সংবাদমাধ্যমেই শুধু নয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেই বলা হচ্ছিল যে দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ কিন্তু কলকাতা পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে বলে যে দেহ পাওয়াই যায়নি, শুধু রক্তের দাগ পাওয়া গেছে৷ নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে, ছবি তোলা হচ্ছে, তারপর সেসব পাঠানো হবে৷''
স্যমন্তক ঘোষ এবিষয়ে আরো যোগ করে বলেন, ‘‘ক্রাইম রিপোর্টিংকে সেনসিটাইজ করার ঘটনা পুলিশ ও সংবাদমাধ্যম দুই তরফ থেকেই বেড়েছে৷ পুরো বিষয়টি খুবই আশ্চর্যজনক৷''
শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, এমপি আনারের মৃত্যুর খবরের সাথে উঠে আসা তার অবৈধ স্বর্ণ ও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগ বিষয়ে৷ ‘‘সংবাদমাধ্যমে যেভাবে এগুলি আলোচিত হচ্ছে, তার পেছনে লুকিয়ে আছে বেশ কিছু অমীমাংসিত প্রশ্ন,'' বলেন সঞ্চালক৷
সে প্রসঙ্গে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে এটার মধ্যে কিছুটা ডাইভারশন, বা প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দেবার চেষ্টা আছে, কিছুটা টুইস্টও, প্রোপাগান্ডা মেশিনারির মাস্টারপ্ল্যান আছে, কিছুটা হালকা করে দেখানো আছে৷ জনগণকে ভিন্নদিকে দৃষ্টি দিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ফ্যাক্ট রিমেইনস, একজন সিটিং এমপি, তিনি বিদেশে গিয়ে মারা গেছেন, নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, যদি সত্য হয়ে থাকে৷''
সাপ্তাহিক টকশোর এবারের পর্বে এছাড়াও ঘুরে ফিরে আসে কলকাতা শহরের অভিজাত নিউটাউন এলাকায় নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনীতে থাকা আবাসনে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কেউ মরদেহ টুকরো করে নিয়ে যেতে পারে কি না, সেই বিষয়েও৷ এছাড়া, আলোচিত হয় বাংলাদেশ থেকে ভারতে বা ভারত থেকে বাংলাদেশে অপরাধীদের সহজ যাতায়াতের দিকটিও৷
এসএস/এআই