‘লাইট' ভারোত্তোলকদের রেকর্ড
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে, আরো খুঁটিয়ে বলতে গেলে মুনলাইট গার্ডেন্স অ্যারেনায় মঞ্চে পদার্পণ করলেন কাতারের ২৯ বছর বয়সি ওয়েটলিফ্টার এসা সালেহ আল বুয়াইনাইন – ৭৭ কিলো বিভাগের প্রতিযোগী – এবং তুললেন ১৪০ কিলো৷ বৃহস্পতিবার একই দৃশ্য, তবে এবার ‘মাঠে নেমেছিলেন' কাতার দলের তরুণতম ভারোত্তোলক, ১৮ বছর বয়সি হামদান হামাদ আলমারি, এবং তুলেছিলেন আবার সেই ১৪০ কিলো৷ তবে মনে রাখা দরকার: আলমারি যে বিভাগে নামেন, সেটা ছিল ৯৪ কিলোর বিভাগ৷ কাজেই আলমারির ‘পারফর্মেন্স'-কে আল বুয়াইনাইন-এর ‘পারফর্মেন্স'-এর চেয়েও খারাপ বলতে হয়৷
তবে দু'জনে যেখানে রেকর্ড করেছেন, সে'টি হলো: এই এশিয়ান গেমসে ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় কোনো প্রতিযোগী, নারী কিংবা পুরুষ, এত কম ওজন তোলেননি৷ এ যাবৎ যিনি সবচেয়ে কম ওজন তুলেছিলেন, তিনি হলেন ৫৩ কিলো বিভাগের আনখজাইয়া বাতারতুমুর, মঙ্গোলিয়ার মহিলা অ্যাথলিট: তাঁরও অ্যাগ্রেগেট ছিল ১৪৫ কিলো, অর্থাৎ কাতারের দুই মল্লের চেয়ে পাঁচ কিলো বেশি৷
সেই দুই মল্লের ‘রেকর্ড ব্রেকিং' পারফর্মেন্সের পর এশিয়াডে ভারোত্তোলনের এক কর্মকর্তা এএফপি সংবাদ সংস্থাকে বলেন: ‘‘ওরা এখানে টুরিস্ট হিসেবে এসেছে, বলে আমার ধারণা৷ ওটা তো মেয়েদেরও ওয়েট নয়৷'' অপরদিকে কাতারের অলিম্পিক কমিটির সদস্য সালমান আহমদ কিন্তু তাঁর লিফ্টারদের পক্ষ সমর্থন করেছেন; তিনি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে বলেছেন: ‘‘এটা ভবিষ্যতের প্রস্তুতি৷ ওদের এখনও বয়স কম৷ ওরা এখানে ছুটি কাটাতে আসেনি৷''
বয়স কম? আলমারির ১৮, সেটা বোঝা গেল৷ কিন্তু আল বুয়াইনাইন এই ডিসেম্বরে ৩০-এ পা দেবেন, আর তৃতীয় ভারোত্তোলক সঈদ শাবিব আল-দোসারির বয়স এখন ২৬৷ এই আল দোসারি-ই কাতারি ওয়েটলিফ্টারদের মান রেখেছেন, বলা চলে: বুধবার পুরুষদের ৮৫ কিলো বিভাগে তিনি ২২৪ কিলো তোলেন, যাকে কিনা একটা ‘‘পুরুষের'' টোটাল বলা চলে৷
এসি/ডিজি (এএফপি)