1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা সংস্করণের নতুন নামকরণ পদ্ধতি

১ জুন ২০২১

ডাব্লিউএইচও সোমবার করোনা ভাইরাসের ভেরিয়েন্টগুলির জন্য গ্রিক বর্ণমালার অক্ষর অনুযায়ী নামকরণের প্রক্রিয়ার ঘোষণা করেছে৷ সেইসঙ্গে করোনা মহামারি সম্পর্কে আবার সতর্ক করে দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3uFbZ
Deutschland Essen | Coronakrise: Medizinische Angestellte wird geimpft
ছবি: Tang Ying/Xinhua/picture alliance

করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন সংস্করণগুলিকে এতকাল হয় বৈজ্ঞানিক নাম অথবা যে দেশে প্রথম মাথাচাড়া দিয়েছে, সে নামে ডাকে হতো৷ ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল বা ভারতের ভেরিয়েন্ট হিসেবেই সেগুলি পরিচিত ছিল৷ ভারত বিষয়টি নিয়ে ঘোর আপত্তি প্রকাশ করে৷ 

এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্রিক বর্ণমালার অক্ষর অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন সংস্করণের নামকরণের সিদ্ধান্ত নিলো৷ ফলে এবার থেকে কোনো দেশের বদনাম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা হবে৷ নতুন নামকরণ অনুযায়ী ব্রিটেনে পাওয়া করোনা ভাইরাসের সংস্করণের নাম আলফা, দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্করণের নাম বিটা, ব্রাজিলের ভেরিয়েন্টের নাম গামা এবং ভারতেরটির নাম ডেলটা রাখা হলো৷ বৈজ্ঞানিক মহলে অবশ্য আগের মতোই ইংরাজি অক্ষর ‘বি’ ও সংখ্যার সমন্বয়ে গঠিত সংজ্ঞাগুলি ব্যবহার করা হবে৷ যেমন ‘ব্রিটিশ’ বা এখন আলফা নামে পরিচিত ভেরিয়েন্ট বিওয়ানওয়ানসেভেন হিসেবেই পরিচিত থাকবে৷ 

নামকরণের পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোমবার আবার করোনা মহামারি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে৷ এই মুহবর্তে গোটা বিশ্বে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমতে থাকলেও মহামারি মোটেই শেষ হয়ে যায় নি বলে ডাব্লিইউএইচও মনে করে৷ বাৎসরিক বৈঠকে সংস্থার প্রধান টেড্রস আদানোম গেব্রেইয়েসুস বলেন, ঘটনা হলো এই মহামারি শেষ করতে এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে৷ কোনো দেশ যদি মনে করে বিপদ কেটে গেছে, সেটা মারাত্মক ভুল হবে৷ তিনি ভবিষ্যতে এমন বিপদ আরও কার্যকরভাবে মোকাবিলার লক্ষ্যে এক আন্তর্জাতিক চুক্তির ডাক দিয়েছেন৷ সদস্য দেশগুলি নভেম্বর মাসে মিলিত হয়ে ‘প্যান্ডেমিক ট্রিটি’ স্বাক্ষরের লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে৷ 
 

মহামারি চুক্তি সম্পর্কে নীতিগত ঐকমত্যের পর খুঁটিনাটী বিষয়গুলি সম্পর্কে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ মহামারির আশঙ্কা দেখা দিলে আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগিতার লক্ষ্যে মজবুত কাঠামো গড়ে তুলতে গেলে অর্থের জোগান নিশ্চিত করতে হবে৷ তবে তার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাতে আরও ক্ষমতা তুলে দেবার বিষয়ে মতপার্থক্য দূর করতে হবে৷ কারণ সে ক্ষেত্রে এই সংস্থা সরাসরি কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অধিকার পাবে৷ ডাব্লিইউএইচও-র অর্থায়নের সংস্কার নিয়েও তর্কবিতর্ক চলছে৷ বর্তমানে সংস্থার বাজেটের মাত্র ১৬ শতাংশ সদস্যদের চাঁদা থেকে আসে৷ বাকিটা নির্দিষ্ট প্রকল্পগুলির জন্য নির্ধারিত অর্থ দিয়ে পুষিয়ে দেওয়া হয়৷ স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য অর্থায়ন ছাড়া সংস্থার পক্ষে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে কাজ করা কঠিন হয়ে উঠছে বলে ডাব্লিউএইচও-র প্রধান উল্লেখ করেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এপি, এএফপি) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য