করোনার জেরে ইটালির প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
২৭ জানুয়ারি ২০২১পদত্যাগ করেছেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী গুসেপে কন্টি। ২০১৮ সাল থেকে ইটালির প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলাচ্ছেন তিনি। করোনাকালে তাঁর বিরুদ্ধে অসন্তোষ তীব্র হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তারই জেরে শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন তিনি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ফের সরকার গঠনের চেষ্টা করবেন কন্টি।
২০১৮ সালে ইটালিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন আইনের এই সাবেক অধ্যাপক। তবে তাঁর দল একার জোরে ক্ষমতায় আসেনি। জোট তৈরি করতে হয়েছিল আরো বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজির দলও ছিল। করোনাকালে রেনজির সঙ্গে কন্টির বিরোধ শুরু হয়। রেনজি প্রথম থেকেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, গোড়া থেকেই প্যানডেমিক সামলাতে পারেনি সরকার। তবে বিরোধ তীব্র হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন করোনা রিকভারি ফান্ড ঘোষণা করার পর। কন্টি ইটালিকে দেওয়া ২০০ বিলিয়ন ইউরোর পুরোটাই একবারে খরচের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু রেনজি তার বিরোধিতা করেন এবং সরকার থেকে নিজের দলকে সরিয়ে নেন।
রেনজি সরকার থেকে সরে যাওয়ায় সরকারপক্ষ দুর্বল হয়ে পড়ে। ইটালির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করতে পারলেও উচ্চকক্ষ বা সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেননি কন্টি। ফলে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। মঙ্গলবারই তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং প্রেসিডেন্ট তা গ্রহণও করে নিয়েছেন।
এবার কী হবে
এখনো নতুন করে সরকার গঠনের সুযোগ আছে কন্টির সামনে। নতুন জোট তৈরি করে তিনি ফের প্রেসিডেন্টের কাছে যেতে পারেন। নইলে প্রেসিডেন্ট অন্য কাউকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য আহ্বান করতে পারেন। তা না হলে ফের নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কন্টিই নতুন করে সরকার তৈরি করবেন। তাঁর জোটসঙ্গি সেন্টার-লেফট ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং ফাইভ স্টার এখনো তাঁর সঙ্গে আছে। আরো একটি দলকে নিজের দিকে টানার চেষ্টা করছেন কন্টি। তা সম্ভব হলে ফের নিজেদের সংখযাগরিষ্ঠতা সেনেটে প্রমাণ করতে পারবেন তিনি।
করোনা সমস্যা
ইউরোপের বহু দেশে করোনার টিকাকরণ জোর কদমে চললেও ইটালিতে এখনো তা খুব ভালো ভাবে হচ্ছে না। সরকারের দাবি, বড় বড় কোম্পানি তাদের সময় মতো টিকা পাঠাচ্ছে না। কন্টি ফের ক্ষমতায় এলে বেশ কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁর আগে তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)