কলম্বিয়া সীমান্তে বিদ্রোহীদের লড়াই, মৃত ২৩
৪ জানুয়ারি ২০২২এই সংঘর্ষ হয়েছে ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ইএলএন) এবং রেভলিউশনরি আর্মড ফোর্স অফ কলম্বিয়া (এফএআরসি)-র মধ্যে। ২০১৬ সালের শান্তিচুক্তির পরেও এই দুই সংগঠন অস্ত্র ছাড়তে রাজি হয়নি। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান দুকে বলেছেন, বেশ কিছু সাধারণ মানুষ দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের মাঝখানে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
দুকের অভিযোগ
এই ঘটনার জন্য দুকে ভেনেজুয়ালেকে দায়ী করেছেন। তার অভিযোগ, ভেনেজুয়েলা এই দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সাহায্য করে। ভেনেজুয়েলা সীমান্ত থেকেই তারা কাজকর্ম করে। তারাই বিদ্রোহীদের আশ্রয় দেয়।
দুকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনি ঘটনাস্থলে দুই ব্যাটেলিয়ান সেনা পাঠাচ্ছেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেনা সেখানে পৌঁছে যাবে।
দুকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এখন ভেনেজুয়েলার সঙ্গে কলম্বিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
সাধারণ মানুষের মৃত্যু
কলম্বিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেশ কিছু পরিবার পালাতে পেরেছিল। কিন্তু কয়েকজন পালাতে পারেননি। গুলির লড়াইয়ে তারা মারা গেছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপ।
সূত্র জানাচ্ছে, ওই এলাকায় পাঁচ হাজার এফএআরসি বিদ্রোহী সক্রিয়। সেই সঙ্গে আড়াই হাজার ইএলএন বিদ্রোহীও আছে। এখানে মাদক পাচারকারীরাও রীতিমতো সক্রিয়।
জিএইচ/এসজি (ইএফই, এএফপি)