কান উৎসবে ঐশ্বরিয়ার ২২ বছর

এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় সাদা গাউনে বরাবরের মতই অপূর্ব লাগছিলো এই বলিউড সুন্দরীকে৷

এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় লাল গাউনে ঠিক গোলাপ ফুলের মতই সুন্দর লাগছিলো এই বলিউড সুন্দরীকে৷

এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের নামের যেন সার্থকতা তুলে ধরেছিলেন তিনি৷

গত কয়েক বছর ধরেই কানে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন ঐশ্বরিয়া৷ প্রতিবছরই তাঁর পোশাকে থাকে ভিন্নতা৷

ঐ বছর সোনালী রংয়ের পোশাকে কানের লাল গালিচায় হাঁটেন এই বিশ্বসুন্দরী, যা জয় করেছিল অনেকের হৃদয়৷

কানের ৬৬তম আয়োজনে ঐশ্বরিয়া৷ ‘বিহাইন্ড দ্য ক্যান্ডেলাবরা’ ছবির প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে গত বছর বিশ্বের অন্যতম বড় চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হন তিনি৷

‘কসমোপোলিস’ ছবির প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে সেবছর কানে উপস্থিত ছিলেন ঐশ্বরিয়া৷ ছবিতে কি তাঁকে একটু মোটা দেখাচ্ছে? আসলে বিশ্বসুন্দরী তখন মা হয়েছেন৷

সাদা এবং কালোর সংমিশ্রণে তৈরি পোশাকে ঐশ্বরিয়া৷ এই বলিউড অভিনেত্রীর জন্য যেসব পোশাক তৈরি করে ফ্যাশন ডিজাইনাররা খ্যাতি কুড়িয়েছেন তার মধ্যে এটি একটি৷ সময়ের সাথে সাথে পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে মানানসই ব্যক্তিত্বও গড়ে তুলেছেন অ্যাশ৷

সেবছর স্বামী অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে কানে হাজির হন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন৷ শাড়িতে অসাধারণ লাগছিল তাঁকে৷

কাঁধ খোলা সাদা গাউনে ঐশ্বরিয়া৷ ২০০৯ সালের এই ছবিটি এখন পর্যন্ত কানে ঐশ্বরিয়ার সেরা ছবি হিসেবে অনেকে বিবেচনা করেন৷

বচ্চন পরিবারের বউয়ের ভক্ত এবং সমালোচকরা মনে করেন, ঐশ্বরিয়ার চেহারায় এক ধরনের সরলতা আছে৷ আর এই সরলতা তাঁকে করে তুলেছে আরো বেশি আকর্ষণীয়৷ সবুজ আর সোনালী রংয়ের মিশ্রণে তৈরি এই পোশাকে অবশ্য বিশ্ব সুন্দরীর দৈহিক সৌন্দর্য্যও ফুটে উঠেছিল৷

সেবছর অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ঐশ্বরিয়া৷ কানেও তিনি হাজির হন স্বামীসহ৷

ঘন নীল পোশাক, সোজা চুল আর গলায় সাপের আদলে তৈরি নেকলেস – ঐশ্বরিয়ার এই লেবাস সমালোচকদের মুখও বন্ধ করে দিয়েছিল৷ বিয়ের আগের বছর তাঁকে দেখতে কিন্তু বেশ আকর্ষণীয় লাগছিল৷

কালো ঐশ্বরিয়ার প্রিয় রং৷ ২০০৫ সালে কানে বিদেশি ডিজাইনারের তৈরি তাঁর কালো পোশাক সাড়া জাগিয়েছিল৷ বিশেষ করে ফটোগ্রাফাররা ঐশ্বরিয়ার ছবি তুলেছেন অনেক আগ্রহ নিয়ে৷

ভারতীয় ডিজাইনার নিতা লাললার তৈরি এই পোশাক পরে ২০০৪ সালে কানের লাল গালিচায় হেঁটেছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন৷ এই পোশাকের সমালোচনা করেছেন অনেকে৷ তাসত্ত্বেও ঐশ্বরিয়ার প্রিয় ডিজাইনারের তালিকা থেকে বাদ পড়েননি নিতা৷ তবে পরবর্তীতে অ্যাশের জন্য পোশাক ডিজাইনের ক্ষেত্রে সতর্ক হন তিনি৷

২০০৩ সালে কানে ‘জুরি’ হিসেবে অংশ নেন ঐশ্বরিয়া৷ তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে সেবছর কান সফর নিয়ে বিশেষ সন্তুষ্ট ছিলেন না৷ যদিও প্রথম কোন ভারতীয় অভিনেত্রীর জুরিমণ্ডলীতে সুযোগ পাওয়ার খবর সাড়া জাগিয়েছিল৷ অনেকের নজর ছিল ঐশ্বরিয়ার দিকে৷

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ঐশ্বরিয়ার অভিষেক৷ ‘দেবদাস’ ছবির প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে তখন কানে এসেছিলেন তিনি, পড়েছিলেন শাড়ি৷