1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কাশ্মীরে জাতিসংঘের যাওয়া উচিত’

৭ নভেম্বর ২০১৯

ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেকা হাভিস্তো সম্প্রতি ভারত সফরে এসে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন এই কথা৷ তাঁর মতে, নতুন দিল্লির পক্ষ থেকেই এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত৷

https://p.dw.com/p/3Sbaz
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS.com/M. Mattoo

ভারতের জনপ্রিয় পত্রিকা ‘দ্য হিন্দু’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাশ্মীরের মর্যাদা বদল নিয়ে কথা বলেন৷ শুধু তাই নয়, সম্প্রতি কাশ্মীর ঘুরে সেখানের অবস্থা স্বাভাবিক, এমন দাবি করেছে ইউরোপিয়ান সংসদের একদল সাংসদ৷ সেই দাবির সত্যতা বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কাশ্মীরে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল আনার প্রস্তাব রাখেন তিনি৷

তাঁর মতে, ‘‘যারা কাশ্মীরে যাচ্ছেন ও সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছেন, আমি তাদের সমালোচনা করছি না৷ কিন্তু আমার মতে, যারা কাশ্মীরের ইতিহাস সম্বন্ধে অবগত আছেন, তাদেরই এ বিষয়ে কথা বলা উচিত৷ ব্যক্তিগতভাবে আমি জাতিসংঘের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলাম বহু দিন৷ তাই জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণকেই আমার নিরপেক্ষ মনে হয়৷’’

কাশ্মীর ভারত-পাক ইস্যু, কোথায় ফিনল্যান্ড?

কাশ্মীরের মর্যাদা বদলের ঘটনার পরই ফিনল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর৷ সেখানে কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি, জানান হাভিস্তো৷ সেই সাক্ষাতেও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ প্রতিনিধি দলে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন হাভিস্তো৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার এই কথা প্রতিবারই আমি জয়শঙ্করকে বলেছি, কিন্তু এই বিষয়ে এখনও কিছু করা যায়নি৷’’

ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান তখনই সম্ভব যখন দুই পক্ষ সংলাপে আগ্রহী হবেন৷ তৃতীয় কোনো পক্ষ সেই সংলাপে তখনই আসতে পারে যখন দুই পক্ষ তাতে রাজি হবেন৷ বর্তমানে কাশ্মীর বিষয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক নেই, মত হাভিস্তোর৷

জাতিসংঘের হয়ে সুদানের দারফুরে শান্তিচুক্তি লাভে হাভিস্তো ছিলেন অগ্রণী ভূমিকায়৷ কাশ্মীর সমস্যার সমাধানেও ফিনল্যান্ডের ভূমিকা কেমন হতে পারে, প্রশ্ন করা হয় হাভিস্তোকে৷ উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের সাথে আমাদের অনেক দিনের সম্পর্ক৷ কাশ্মীরের মতো অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি কীভাবে ফিনল্যান্ডের পিসকিপাররা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন৷ দুই পক্ষ সংলাপে আগ্রহী হয়ে তৃতীয় পক্ষকে আমন্ত্রণ জানালে তখন তা বিবেচনা করা যাবে৷’’

সম্প্রতি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ভারত সফরে যান ও কাশ্মীর উপত্যকার স্বাভাবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ হাভিস্তোও ম্যার্কেলের সাথে সুর মিলিয়ে বলেন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, তা স্পষ্ট৷ দোকানপাট বন্ধ, মানুষ কাজে যাচ্ছেন না, চাষ করছেন না৷ তার মানে অর্থনৈতিক উন্নয়নও থেমে আছে৷ এটাও ভাবনার বিষয়৷’’

ফিনল্যান্ডের মন্ত্রীর মন্তব্যে কোনো উত্তর এখনও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দেয়নি৷ জাতিসংঘের প্রতিনিধি আনা নিয়েও কোনো উচ্চবাচ্য করেনি ভারত৷

এসএস/কেএম (দ্য হিন্দু)