কুষ্টিয়ায় লালন অনুসারীর ঘর ভাঙচুর
২৮ জুন ২০২৪ঘটনার পর চায়না বেগম কুষ্টিয়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ তাতে বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য এনামুল হক, মাতব্বর মোশারফ হোসেন, আনার মণ্ডল ও সাইদুল হাজির নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪৫-৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে৷
মৃত্যুর আগে চায়না বেগমের স্বামী গাজীর উদ্দিন ফকির তাকে বলেছিলেন, ‘‘কোথাও জায়গা না হলে তুমি আমার কবরের পাশেই থাকবা৷ প্রতি বছর বাতাসার সিন্নি হলেও করবা''৷ লালন সাঁইয়ের অনুসারী চায়না বেগমও চেয়েছিলেন জীবনের শেষ দিনগুলো স্বামীর কবরে মাথা ঠেকিয়ে কাটিয়ে দেবেন৷ ভিটেমাটিতে প্রতিদিন জ্বালাবেন সন্ধ্যা প্রদীপ৷ তার সেই চাওয়া পূরণ হলো না৷''
লিখিত অভিযোগে চায়না উল্লেখ করেছেন, গত বুধবার (২৬ জুন) সকাল ৬টার দিকে অভিযুক্তরা তার ঘর ভাঙচুর করেন৷ এতে তার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে৷ এছাড়া, তারা চায়নাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন৷
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে এনামুল হক বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধা বাড়ি করেছেন একটি মাঠের মধ্যে ফাঁকা জায়গায়৷ সেখানে যাওয়ার পথ নেই, তাকে দেখারও কেউ নেই৷ এছাড়া কিশোর গ্যাংয়ের আস্তানা হওয়ার আশঙ্কায় তার ঘরটি এলাকাবাসী ভেঙে দিয়েছে৷ ওই বৃদ্ধা চাইলে আমরা রাস্তার পাশে বাড়ি করে দিতে পারি৷ কিন্তু উনি সেখানেই থাকতে চান৷''
অভিযোগের তদন্তভার পেয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুজ্জামান৷ তিনি বলেন, ‘‘উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে৷ সেখানে একটি সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করা হবে, নাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো৷''
এপিবি/এসিবি (ডেইলি স্টার বাংলা)