1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ভারত বনধে সাড়া

গৌতম হোড় নতুন দিল্লি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

কৃষি বিলের প্রতিবাদে কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বনধে ভাল সাড়া মিলেছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা ছাড়াও কর্ণাটক, বিহার, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্রসহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে রেল রোকো (অবরোধ) ও রাস্তা রোকোর ফলে জনজীবনে প্রভাব পড়েছে।

https://p.dw.com/p/3iyds
ছবি: Krishna Gaddam

কৃষি বিল নিয়ে মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়ল। কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বনধের ফলে অনেক রাজ্যেই রেল ও রাস্তা রোকো হয়েছে। অমৃতসর-দিল্লি জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে পুরোপুরি বন্ধ। একই অবস্থা কর্ণাটক-তামিলনাড়ুর মধ্যে যোগাযোগকারী জাতীয় সড়কেও। কৃষকদের অবরোধের ফলে লখনউ-অযোধ্যা জাতীয় সড়কেও বিশাল যানজট দেখা দিয়েছে। বিহারে কৃষকদের পাশাপাশি আরজেডি-ও বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব ট্র্যাক্টর নিয়ে রাস্তায় নামেন।

ভারত বনধে সব চেয়ে বেশি সাড়া মিলেছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং কর্ণাটকে। বাকি অনেক রাজ্যেই কৃষকরা বিলের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন এবং রেললাইন অবরোধ করেছেন। পাঞ্জাবে কংগ্রেস, অকালি এবং আপ কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ঘোষণা করেছেন, আন্দোলনকারীরা  ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলেও পুলিশ এফআইআর করবে না। পাঞ্জাবে কৃষক সংগঠনের নেতারা আগামী ১ অক্টোবর থেকে লাগাতার সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছেন।

পাঞ্জাব ও হরিয়ানা মোটামুটি বন্ধ। উত্তর প্রদেশেও অনেক জায়গায় কৃষকরা রাস্তা অবরোধ করেছেন। বারাবাঙ্কিতে সকাল থেকেই অবরোধ চলছে। অবরোধের ফলে লখনউ-অযোধ্যা সড়ক সহ বেশ কিছু জায়গায় প্রবল যানজট হয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেছেন, ''এই অন্যায় মেনে নেয়া হবে না। মোদী সরকার কৃষকদের বড় কর্পোরেটের দাসে পরিণত করতে চাইছে। তাঁদের নিজ জমিতে তাঁরা দাস হয়ে পড়বেন। তাঁদের সম্মান ও অধিকার দুইই যাবে।'' দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের সীমানায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

বিহারে আরজেডি ও কংগ্রেস কর্মীরা পাটনা, দ্বারভাঙ্গা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রতিবাদ জানিয়েছে। রাস্তায় গরু, মোষ নিয়ে এসে অবরোধ করা হয়েছে। বিহারে শুক্রবারই ভোটের দিন ঘোষণা করা হবে। তার আগে কৃষি বিল নিয়ে প্রবল আন্দোলনে নেমেছে বিরোধী জোট। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, বিল নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছে বিরোধীরা।

দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও কৃষকরা পথে নেমেছেন। কর্ণাটক-তামিলনাড়ু সড়ক তাঁরা অবরোধ করে রেখেছেন। কর্ণাটকে বেশ কয়েকটি জায়গায় রেল ও সড়ক অবরোধ হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেন বাতিল হয়েছে।  বিরোধীদের দাবি, কৃষকদের এই আন্দোলনের ফলে মোদী সরকার চাপে পড়েছে। তবে সরকারও কৃষি সংক্রান্ত তিনটি আইন চালু করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু কৃষক আন্দোলন বাড়তে থাকলে ভবিষ্যতে এই চাপ আরো বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি গৌতম হোড়৷
গৌতম হোড় ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি৷