কে-পপ
২১ এপ্রিল ২০১২নান্দনিক শল্যচিকিৎসা আধুনিক রূপচর্যার অঙ্গ৷ হলিউডের বহু সুন্দরীর চুল, দাঁত, মুখের আদল থেকে দেহের গড়ন, সব কিছুই বদলানো হয়েছে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে৷ এখানে বোটক্স, তো ওখানে সিলিকন৷ কিন্তু সেই হুজুগে যদি চীন থেকে হাজার-হাজার মহিলা দক্ষিণ কোরিয়ায় যান, তা'ও আবার নিজের নাক কি কপোল ঠিক কোনো দক্ষিণ কোরীয় ফিল্মস্টারের মতো করার জন্য, তাহলে চমকে যেতে হয় বৈকি৷
পপ সংগীতে কে-পপ ব্যান্ডগুলোর কথা যদি বাদও দেওয়া যায়, তাহলেও থেকে যাচ্ছে গোটা এলাকা জুড়ে দক্ষিণ কোরীয় টিভি নাটক, সিরিয়াল ও ‘সোপ'-এর অসাধারণ সাফল্য: ‘‘শীতের সোন্নাটা'' কিংবা ‘‘হেমন্তের রূপকথা''-র মতো টেলিভিশনের হিটগুলি আজ কিংবদন্তী৷ তাই ২০১০ সালে চার হাজারের বেশি চীনা মহিলা গিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায় কিম হি-সান, অথবা সং হাই-গিয়ো, অথবা হান গা-ইন'এর মতো মুখাবয়বের আশায়৷
মুশকিল এই যে, মনস্তত্ত্ববিদরা বলছেন, দক্ষিণ কোরীয় সমাজে সৌন্দর্যের সংজ্ঞাটা খুবই সংকীর্ণ, এবং তার অপর পীঠে রয়েছে আত্মসম্মানের অভাব৷ নয়তো একটা মানুষ তার একান্ত নিজস্ব চেহারাটা বদলে ফেলতে চাইবে কেন?
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (এএফপি)
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম