1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাদিজার শিক্ষাজীবন নিয়ে শঙ্কা পরিবারের

১৩ জুলাই ২০২৩

জামিন শুনানি দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার শিক্ষা জীবন নিয়ে চরম শঙ্কায় পড়েছে পরিবার।

https://p.dw.com/p/4Tqnb
প্রতীকী ফাইল ফটো
প্রতীকী ফাইল ফটোছবি: Reuters

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন তিনি। তার জামিন প্রশ্নে আবেদন শুনানি চার মাসের জন্য মুলতুবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে এই চারমাস তাকে কারাগারেই থাকতে হবে। এর মধ্যে আইনগত কোনো প্রক্রিয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ গত সোমবার এই আদেশ দেন। আইনজীবী বলছেন, আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে চার মাস খাদিজাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতই থাকছে।

খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২০ সালে অনলাইনে একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেছিলেন তিনি। সেখানে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের অভিযোগে ওই বছরের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে আলাদা দুটি মামলা করে। একটি মামলা রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায়।

দুই মামলাতেই গত বছরের মে মাসে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে আছেন। আর দেলোয়ার বিদেশে পলাতক।

শিক্ষা জীবন নিয়ে পরিবারের শঙ্কা

খাদিজাতুল কুবরার বড় বোন মিরপুর বাঙলা কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সিরাজুম মুনিরা ডয়চে বলেন, "আইনের উপর তো আমরা কিছু করতে পারি না। আদালত যেহেতু চার মাস স্থগিত রেখেছে আমরা কী করতে পারি? এখন আমার আম্মুকে তো মানাতে পারছি না, তিনি সারাদিনই কাঁদছেন। আমার আব্বু একজন প্রবাসী। সে হিসেবেও তো আমরা একটা সুযোগ পেতে পারি। আর মূল কথা হচ্ছে, সে তো দোষী সাব্যস্ত হয়নি। তাহলে সে কেন জেল খাটবে? দোষটা আগে প্রমাণ হোক। আর ওকে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হোক। ইতিমধ্যে ওর একটা সেমিস্টার চলে গেছে, আরেকটাও চলে যাওয়ার পথে। ওর পড়াশোনা ধ্বংস করার অধিকার তো কারও নেই। বাংলাদেশে তো মানুষের বাকস্বাধীনতা আছে। জামিন পাওয়ার অধিকার কী ওর নেই? ১১ মাস ধরে ও জেলে। কতকিছুই করে মানুষ জামিন পাচ্ছে, আর ও একটা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে ১১ মাস ধরে জেলে আছে। চার্জশিটে ওর একটা অপরাধের কথাও উল্লেখ নেই। চার্জশিটে মূল ফোকাস হল মেজর দেলোয়ার। আমার বোনকে তো ধরেছে। দেলোয়ার তো কানাডায় আছে। পারলে তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসুক। তাহলেই তো হতো। মা আর ছোট ভাইকে নিয়ে আমাদের অনেক কষ্টে দিন কাটছে। কুয়েতে থাকা বাবাও খাদিজাকে নিয়ে চরম উদ্বেগে সময় কাটাচ্ছেন।”

‘প্রধান আসামি পলাতক বলে খাদিজাই এক নম্বর আসামি’

আপনার বোন কি জানত, সে যে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতে যাচ্ছে সেখানে এই ধরনের বিতর্কিত মানুষ থাকতে পারে বা বিতর্কিত কথা হতে পারে? জবাবে তিনি বলেন, "না, ও জানত না। ওতো মেজর দেলোয়ারকে চিনত না। একটা সাধারণ প্রশ্নের উত্তরে যদি তিনি সব রাগ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন তাহলে ও কি করবে? এখন আপনি আমাকে প্রশ্ন করছেন, আমি তো সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি? তার জন্য কী আপনার বিরুদ্ধে মামলা হবে? এটা কী ঠিক? ছোট্ট একটা মেয়ে পড়াশোনা ছাড়া কখনও কিছু করেনি। অথচ কারাগারে ওকে দিয়ে মাটি কাটাচ্ছে, ঘাস কাটাচ্ছে। সামান্য অপরাধে ওকে সাতদিন কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।”

পেছালো চার্জ গঠনের দিন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। গত মঙ্গলবার মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলা দুটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। এজন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

আদালত ও আইনজীবী সূত্রের তথ্যমতে, বিচারিক আদালতে দুবার খাদিজার জামিন আবেদন নাকচ হয়। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তার জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। অন্যদিকে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে খাদিজা আবেদন করেন, যা রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের সঙ্গে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ গত সোমবার চার মাস মুলতুবি করেন।

খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, "প্রধান বিচারপতি তার জামিন শুনানির জন্য চার মাস অপেক্ষমান তালিকায় রেখেছেন। শুনানি তিনি মুলতুবি রেখেছেন। জামিনটা মূলত প্রসিডিংয়ের কোন অংশ না। এখানে মূল বিষয়টি হচ্ছে, প্রধান আসামী দেলোয়ার যেহেতু দেশের বাইরে থাকেন ফলে তার বিরুদ্ধে গেজেট নোটিফিকেশন করে চার্জের জন্য তৈরি করা হয়। চার্জশিটেও ওইভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধান আসামী দেলোয়ার পলাতক। ফলে খাদিজাকে এক নম্বর আসামি দেখানো হয়েছে। ১১ জুন চার্জ শুনানির দিন ছিল। যেহেতু আপিল বিভাগ জামিন শুনানির বিষয়টি অপেক্ষমাণ হিসেবে রেখেছেন ফলে আমরা সময়ের আবেদন করেছিলাম। কারণ জামিন না হলে তো আমার পক্ষে তার সঙ্গে আলোচনা করা সম্ভব হচ্ছে না। সব সময় তো কারাগারে গিয়ে ওভাবে কথা বলার সুযোগ হয় না।”

এই মুহূর্তে কী অন্য কোন বিচারিক প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সুযোগ আছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এখন অন্য কোন প্রক্রিয়ায় নিম্ন আদালতে জামিন চাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা তার জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছিলাম। হাইকোর্ট দীর্ঘ সময় শুনে ছয় মাস পরে জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু আপিল বিভাগে সেটা আটকে যাওয়ার কারণে খাদিজা বের হতে পারেননি। আগামী চার মাস আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। নভেম্বরের ১০ তারিখ এটা শুনানির জন্য আবার কার্যতালিকায় আসবে। সেদিন যদি আমরা জামিন পেতে সক্ষম হই তাহলে চার্জ শুনানির জন্য যে দিনক্ষণ নির্ধারণ করা আছে সেখানে আমরা শুনানিতে অংশ নিতে পারব।”

মামলায় যা বলা হয়েছে

খাদিজার বিরুদ্ধে দু'টি মামলার একটির বাদী নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক খাইরুল ইসলাম এবং অন্যটির কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক আরিফ হোসেন। দু'জন বাদীই দায়িত্ব পালনকালে মোবাইল ফোনে ইউটিউবে ঘুরতে ঘুরতে খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের ভিডিও দেখতে পান। তারপর দুজনই নিজ নিজ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর মেজর দেলোয়ার হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ was live' শিরোনামে এক ভিডিও দেখতে পান। সেখানে সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরার উপস্থাপনায় মেজর দেলোয়ার হোসেন (অব.) তার বক্তব্যে বাংলাদেশ বৈধ গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

এছাড়া আরো উল্লেখ করা হয়, সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর দেলোয়ার তাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজগুলোতে উল্লিখিত ভিডিওগুলো আপলোড করে বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা তাদের মিথ্যা তথ্যপূর্ণ আলোচনা ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচার করে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে তাদেরকে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত করার চেষ্টা করছে। এছাড়া তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে ও বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন করছে। তাই আসামিরা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারার আপনার করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এরপর মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ১৬ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মাজহারুল ইসলাম। আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সঞ্চালক গ্রেপ্তার হলেও মেজর দেলোয়ার এখনও পলাতক রয়েছেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিতর্ক থামছে না

মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বলেন, "প্রথমত একটা মেয়ে প্রায় এক বছর ধরে কারাগারে আছে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টের একটা মামলায়। মামলাটির কিন্তু এখনও চার্জ গঠন হয়নি। আমাদের জন্য আরো দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে দু'টি ঈদ মেয়েটা কারাগারে কাটিয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়নি, তাকে কিন্তু এখানে হয়রানি না করলেও পারতেন। আমরা কিন্তু বিভিন্ন সময় বলে আসছি, ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টের মাধ্যমে মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এটি তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই ধরনের আইন যখন একটা রাষ্ট্রে বহাল থাকে, যে আইনের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সেই আইনে একজন নারী শিক্ষার্থীকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এই কারাগারে থাকার মাধ্যমে তার শিক্ষাজীবন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ভবিষ্যতে সে আর শিক্ষা সমাপ্ত করতে নাও পারে। আইনের এই ধরনের প্রয়োগ সাধারণ মানুষের সব ধরনের অধিকার ভুলন্ঠিত করে। সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারে দ্বারে তাকে ঘুরতে হচ্ছে তারপরও সুরাহা হচ্ছে না। এসবকিছু থেকে স্পষ্ট মানুষের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হচ্ছে।”

খাদিজার মুক্তির দাবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজার মুক্তির দাবি জানিয়েছে প্রতিবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ। ঈদের আগে গত ২৪ জুন রাজধানীর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। ওই সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সমাজ চিন্তা ফোরামের আহ্বায়ক কামাল হোসেন বাদল বলেন, "আমাদের শিল্পীরা, সাংস্কৃতিক কর্মীরা তাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ঠিক মতো পরিচালনা করতে পারছেন না। শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে শিক্ষালাভের সুযোগ পাচ্ছেন না। এসব কর্মকাণ্ডকে দাবিয়ে রাখার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামের কালো আইন তৈরি করা হয়েছে।”

সমাবেশে ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব আক্তারুজ্জামান খান বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে খাদিজা গ্রেফতার, কিন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ঈদের আগে খাদিজার মুক্তি দিতে হবে। নইলে প্রমানিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রশাসন রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করছে।”

সমাবেশে প্রতিবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাসহ গ্রেফতারকৃত সকল বন্দির মুক্তি দাবি করা হয়।

ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধি সমীর কুমার দে৷
সমীর কুমার দে ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধি৷