‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটা হাস্যকর'
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫‘‘এটা রাজনৈতিক অপকৌশল৷ বাংলাদেশের রাজনীতি ফ্যাসিবাদে পরিণত হয়েছে৷ সবার উচিত বাংলাদেশের রাজনীতিকে ঘৃণা করা৷ এ দেশের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তিরা হচ্ছেন রাজনীতিবিদরা৷''
এ মন্তব্য পাঠক আল ইমরান খানের৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধুদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন? এর উত্তরে ৭২ জন বন্ধু মন্তব্য করেছেন৷ ইমরান খানের মতো অনেক পাঠকই বাংলাদেশের আইন ও বিচার বিভাগ সম্পর্কে তাঁদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন৷
যেমন মো. তুহিন লিখেছেন, ‘‘আমাদের দেশের আইন ও বিচার সম্পর্কে কী বলবো? একুশে টিভি-র চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে জেলে পাঠানো হয়েছে কোনোরকম ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়াই৷''
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মিলন মুন্সি লিখেছেন, ‘‘আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়, খালেদা জিয়ার উচিত আইনের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা এবং মানা৷'' অন্যদিকে একেএইচ মুন্না লিখেছেন, ‘‘দেশের আইনকে তো আওয়ামীরা ভুয়া আর জুয়াচুরি বানিয়েছে৷''
আরেক বন্ধু মনে করেন, ‘‘বাংলাদেশে আইনের শাসন নাই, সরকারের কথামত বিচারের রায় হচ্ছে, এভাবে জোর করে জনগণকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে কত দিন আওয়ামী লীগ অবৈধ সরকারে টিকে থাকবে?! জালেম সরকারের পরিণতি ভয়াবহ ইতিহাস সাক্ষী৷''
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত৷ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া বুধবার আদালতে হাজির না হওয়ায় এই পরোয়ানা জারি করা হয়৷
ফেসবুক পাঠক আবদুল গফুরের মতে, ‘‘এ সব চালাকি বোঝার মতো যথেষ্ট জ্ঞান বাংলাদেশের মানুষের হয়েছে, আজকের এই দিনে কেউ যেন বিডিআর হত্যা নিয়ে বেশি কথা না বলে, তাই চালাকি করে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে৷ এতে মানুষজন তাতে ব্যস্ত থাকবে আর মাঝখানে শেখ হাসিনার কুকীর্তি সামনে আসবে না৷''
সৌভিক সেরনিয়াদ শুভ র মন্তব্য, ‘‘এটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া, আপনি উপস্থিত না হলে, আপনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে৷ তবে আবেদন জানানো হয়েছিল, দিন পেছানোর জন্য কেননা, ওনার আইনজীবীর মতে উনি অবরুদ্ধ৷ কিন্তু আমরা যা দেখতে পাচ্ছি, পুরো দেশই উনি হরতাল, অবরোধ দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছন, এখন নিজে যদি ঐগুলোর তোয়াক্কা না করে আদালতে উপস্থিতি দেন তাহলে ওনার সকল কর্মকাণ্ড হাসির খোরাক যোগায় কিনা! তাই দোটানায় পড়ে সব খুইয়েছেন৷''
জামিম আহমেদ এবং মোবারক হোসেন বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করাকে সমর্থন জানিয়েছেন৷
ইমরোজ আহমেদ নিজ দেশের বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে খুবই বিরক্ত, তাঁর ভাষায়, ‘‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এখন দুর্নীতির মামলাটা হাস্যকর৷ পেট্রোল বোমার জন্য ৮/১০টা মামলা হওয়া উচিত৷''
অন্যদিকে এমএম জীবন যুদ্ধ তার মত জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘হাসিনা চেয়েছিলেন মান্নাকে হত্যা করে লাশ গুম করতে, কিন্তু সবাই জেনে যাওয়ার কারণে মান্নাকে জনগণের সামনে হজির করলেন৷ এভাবে বাসা থেকে নিয়ে হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে খুন গুম করছে হাসিনা৷ রক্তের নেশায় মেতে উঠেছে হাসিনা৷''
মেহেদি জাহান মনে করেন, এটা কোনো দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারি করার কথা না, এই সব হাসিনার দুর্নীতি কারণ আর কিছু না৷
ইসলাম খান, নুরুল্লাহ, শরীফ মিঠু, মো. রহিমের মতে পরোয়ানা জারি করাটা ভালো হয়নি৷ পাঠক রাহুল এটাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন৷ আর ওমর ফারুক এটাকে জুলুম বলে আখ্যায়িত করেছেন৷
এমএ রহমানের মন্তব্য, ‘‘খালেদার জিয়ার আগে শেখ হাসিনাকে করার ব্যবস্থা করা হোক৷''
শেষে বন্ধু খানের প্রশ্ন,‘‘আওয়ামী আদালতের ওপর আরো এক আদালত রয়েছে, সেই আদালতে শেখ হাসিনার জামিনদার কে হবে?
সংকলন: নুরুননহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ