খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাব জব্দ
৯ এপ্রিল ২০১৪বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৮টি ব্যাংক হিসাবই গত ৭ বছর ধরে জব্দ রয়েছে৷ তবে এ সব হিসাব থেকে তিনি মাসে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা তুলতে পারেন৷ আর গত ৩ বছর ধরে তিনি ভাড়া বাড়িতে থাকেন৷ প্রতিমাসে ভাড়া ২ লাখ টাকা৷ এ কারণে গত ৩ বছর ধরে তিনি বাড়িভাড়া দিতে পারছেন না৷ এই খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সে পরিমাণ অর্থ ছাড় দেয়ার নির্দেশ দেন৷ একই সঙ্গে বিষয়টি সামনে এনে খালেদা জিয়া দেশের মানুষের সহানুভূতি নেয়ার চেষ্টা এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়৷
খালেদা জিয়ার আয়কর উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান ডয়চে ভেলেকে জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশের কথা জানার পর মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি৷ রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান দেশে নেই৷ এরপর রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি৷ আহমেদ আজম খান বলেন, মহাপরিচালক তাঁকে জানিয়েছেন যে খালেদা জিয়ার হিসাব থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলনের ব্যাপারে নির্দেশনার বিষয়টি তারাও সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছেন৷ এখনো লিখিত কোনো নির্দেশ পাননি৷
এদিকে বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘২০০৭ সালে অবৈধ ও অসাংবিধানিক সরকার মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে৷ তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকেও গ্রেফতার করে তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছিল৷ ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেই তা খুলে দেয়া হয়৷ কিন্তু জাতীয় রাজস্ববোর্ড খালেদা জিয়ার কোনো ব্যাংক হিসাব এখনো খুলে দেয়নি৷'' তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়ার দাবি জানান৷
বেগম খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি হারানোর পর ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাড়িটি বসবাসের প্রতি মাসে দুই লাখ টাকায় ভাড়া নেন৷ আহমেদ আজম খান জানান, ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বেগম খালেদা জিয়ার বাড়িভাড়া ও সাংসারিক খরচসহ মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়মিত ভিত্তিতে ব্যাংক থেকে উত্তোলন প্রয়োজন৷ কিন্তু তিনি প্রতিমাসে ব্যাংক থেকে তুলতে পারেন মাত্র ৫০ হাজার টাকা৷ তাই তার ৩ বছরের বাড়িভাড়া বাকি আছে৷