1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে প্রত্যাশা

১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

কাউন্সিল নিয়ে আওয়ামী লীগের বাইরে বিরোধী ও সমমনা রাজনৈতিক দলে আছে ব্যাপক আগ্রহ৷ তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের আছে স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস৷ কিন্তু সেই আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র থেকে দূরে সরে যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3V6EB
Bangladesch Wahlen Wahlkampf 2018 Awami Muslim League
ফাইল ফটোছবি: DW/M. Mostafigur Rahman

তাই গণতন্ত্রে ফিরে আসাই হবে আওয়ামী লীগের এবারের কাউন্সিলের বড় অর্জন৷

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ৷ স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসের সঙ্গে  কিন্তু সেই আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র থেকে দূরে সরে যাচ্ছে৷ তাই গণতন্ত্রে ফিরে আসাই হবে আওয়ামী লীগের এবারের কাউন্সিলের বড় অর্জন৷

২০ এবং ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিল৷ এই কাউন্সিলে ফের আওয়ামী লীগের সভাপতি হচ্ছেন শেখ হাসিনা তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়৷ তাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক কে হবেন তা নিয়ে৷ ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হন ওবায়দুল কাদের৷

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এই দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন৷

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায়৷ শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চতূর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন৷

কিন্তু এই দলটি এখন গণতন্ত্র থেকে দূরে সরে যাচ্ছে বলে মনে করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি৷ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘‘এই দলটি দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামে তার ভূমিকা অনেক৷ দলটিও মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা নিয়ে গর্ব করে৷ আর এই দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করার জন্য৷ মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার প্রেক্ষাপটে এই দলটি ছিলো পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল৷''

শামসুজ্জামান দুদু

তবে তিনি মনে করেন, ‘‘বর্তমান শাসক দল আওয়ামী লীগ এখন বিতর্কিত ভূমিকায় চলে গেছে৷ বিশেষ করে গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে ভূমিকা তাতে তারা যেন নির্বাচনের রীতি ভুলে গেছে৷ নির্বাচন করা একটি দল এভাবে নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নেয় এর আগে বিশ্বে কোথাও দেখা যায়নি৷ তারা গণতন্ত্র থেকে সরে গেছে৷ তাই আমার কাছে মনে হয় আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনের সবচেয়ে বড় সাফল্য হবে তাদের গণতন্ত্রে ফিরে আসা৷ তারা সেটা করলেই সম্মেলন সফল হবে বলে মনে করি৷''

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের সাফল্য কামনা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল৷ দলটির সংগ্রামী ঐতিহ্য আছে৷ মানুষের পক্ষে কথা বলার, অধিকার আদায়ে আছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা৷ আমি আশা করি কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের যে নতুন নেতৃত্ব আসবেন তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা দলটির ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে৷ সামনে বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত, শোষণমুক্ত, মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশে পরিণত করতে তারা ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করি৷''

জোনায়েদ সাকি

আর গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি মনে করেন, আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতির পাওয়ার কিছু নাই৷ তারা তাদের দলের কাউন্সিল করছে এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া৷ এর মধ্য দিয়ে তারা ক্ষমতা আরো সংহত করার চেষ্টা করবে৷

তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় আছে৷ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অকার্যকর করায় এখন তাদের ভূমিকাই প্রধান৷ আর যেভাবে তারা চলছেন তাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণে তাদের কোনো আকাঙ্খা বা ইচ্ছা দেখতে পাচ্ছি না৷ এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা বা মানুষের সমস্যা সমাধানের কোনো সম্ভাবনা দেখি না৷'

এদিকে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আওয়ামী লীগের কাউন্সিল নিয়ে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করতে চাননি৷ তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের ভেতরে কী হচ্ছে তাতো আমরা জানি না৷ আমরা পর্যবেক্ষণ করছি৷ সম্মেলনের পরে হয়তো বোঝা যাবে কী হলো৷''

আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বিএনপির চার নেতাকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে৷ সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতারাও দাওয়াত পেয়েছেন৷ বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের কূনীতিকদেরও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ শুক্রবার দুপুরের পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই দিনের কাউন্সিল উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য