1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণিত, বিজ্ঞানে পিছিয়েছে জার্মানির শিক্ষার্থীরা

৩ ডিসেম্বর ২০১৯

বিভিন্ন দেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের মান নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ওইসিডি৷ এটি পিসা রিপোর্ট নামে পরিচিত৷

https://p.dw.com/p/3U90K
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul

পিসা হচ্ছে ‘প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট'৷ ২০০০ সালে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়৷ এরপর থেকে প্রতি তিন বছরে একবার এটি বের হচ্ছে৷ মঙ্গলবার ২০১৮ সালের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে৷

এবার ৭৯টি দেশের ছয় লাখ স্কুল শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল৷ এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাক্ষরতা, গণিত ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের উপর জ্ঞান সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়৷

জার্মানির ২২৬টি স্কুলের পাঁচ হাজার ৪৫১ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল৷

মঙ্গলবার প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেছে, জার্মানির শিক্ষার্থীদের মান গড়পড়তার চেয়ে বেশি৷ কিন্তু সাক্ষরতায় পয়েন্ট কমে ২০০৯ সালের স্তরে চলে গেছে৷ এছাড়া গণিত ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানেও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা কমেছে৷ গণিতের পয়েন্ট ২০১২ সালের স্তরে পৌঁছেছে৷ আর বিজ্ঞান পৌঁছেছে ২০০৬ সালের লেভেলে৷

পিসার প্রতিবেদন বলছে, গণিতে শীর্ষে আছে এশিয়ার শিক্ষার্থীরা৷ এই তালিকায় প্রথম সাতটি দেশ এশিয়ার৷ এগুলো হচ্ছে চীন, সিঙ্গাপুর, ম্যাকাও, হংকং, তাইওয়ান, জাপান ও কোরিয়া৷ গণিতের তালিকায় জার্মানির অবস্থান ২০ নম্বরে৷

Infografik PISA 2018 Lesekompetenz EN

বিজ্ঞান ও পঠনেও (রিডিং) শীর্ষস্থানে আছে চীন৷ বিজ্ঞানে জার্মানির স্থান ১৬, আর পঠনে ২০৷

তবে জার্মানির শিক্ষার্থীদের দক্ষতা গড়পড়তার চেয়ে বেশি হওয়াকে সাফল্য হিসেবে দেখছেন শিক্ষক ও গবেষকরা৷ কিন্তু শিক্ষকের সংকট থেকে বের হতে না পারলে ভবিষ্যতে এই সাফল্য ধরে রাখা সম্ভব হবে না বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তাঁরা৷

জার্মানির শিক্ষক সংগঠনের প্রধান হাইনৎস-পেটার মাইডিঙ্গার বলছেন, বর্তমানে প্রায় চার লাখ শিক্ষকের সংকট রয়েছে৷ গত কয়েক দশকে এমন সংকট দেখা যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

Infografik PISA 2018 Ranking EN

তবে মাইডিঙ্গার বলেন, জার্মানিতে শিক্ষায় সমতা নেই বলে যে অভিযোগ তোলা হয়, পিসার প্রতিবেদন সেটাকে ভুল প্রমাণ করছে৷

প্রতিবেদন বলছে, জার্মানির ২২ শতাংশ স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের মাতৃভাষা জার্মান নয়৷ ২০০৯ সালে সংখ্যাটি ছিল ১৮ শতাংশ৷

পিসা প্রতিবেদন প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০০ সালে৷ সেই সময় জার্মান শিক্ষার্থীদের মান গড়পড়তার চেয়ে নীচে ছিল৷ ঐ অবস্থাকে ‘শিক্ষায় জাতীয় দুর্যোগ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ৷

আসট্রিড প্রাঙ্গে/জেডএইচ

গতবছর মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...