গাদ্দাফিকে যেতে হবে, একমত ম্যার্কেল-ওবামা
৮ জুন ২০১১এছাড়া প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে কথা হয়েছে লিবিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি থেকে শুরু করে গ্রিস তথা ইউরোপের ঋণসঙ্কট নিয়ে৷ গাদ্দাফিকে শীঘ্রই চলে যেতে হবে বলে দুই নেতা একমত পোষণ করেছেন, যদিও লিবিয়ায় সামরিক অভিযান চালানো ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অনুষ্ঠিত ভোটে অংশ নেয়নি জার্মানি৷ ইউরোপের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ম্যার্কেলের মতের প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ তিনি বলেন ইউরোপের সমস্যা যেন বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে ঝুঁকির মুখে ফেলে না দেয় সে ব্যাপারে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সঙ্গে একমত হয়েছেন তিনি৷
সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব
ম্যার্কেলকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম' দেয়া হয়েছে৷ কারণ ম্যার্কেল হচ্ছেন একীভূত জার্মানিকে নেতৃত্ব দেয়া পূর্ব জার্মানির প্রথম নাগরিক৷ পদক প্রদানের সময় প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে ম্যার্কেল যা অর্জন করেছেন সেজন্য তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই৷ ম্যার্কেলের সম্মানার্থে হোয়াইট হাউজে আয়োজিত এক রাষ্ট্রীয় ডিনারে এই পদক দেয়া হয়৷ কোনো দেশের নেতার জন্য এ ধরণের আয়োজন একটি বিরল ঘটনা৷ ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা হোয়াইট হাউজে যে বাগান তৈরি করেছেন সেখানে উৎপাদিত সবজি ছিল খাবারের মেন্যুতে৷ এর আগে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছার পরপরই প্রেসিডেন্ট ওবামা ম্যার্কেলকে ওয়াশিংটনের একটি নামী হোটেলে ডিনার করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন৷
কেন?
চ্যান্সেলর ম্যার্কেলকে এতটা অভ্যর্থনা দেয়ার কয়েকটা কারণ হতে পারে৷ যেমন লিবিয়া ইস্যু সহ বিভিন্ন বিষয়ে কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জার্মানির মতের মিল হচ্ছিল না৷ হয়তো সেই অবস্থার উন্নয়নেই এই আয়োজন৷ আবার কেউ বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে উৎসাহ দেখা গেছে তাতে করে আটলান্টিক পাড়ের দেশগুলোর সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক শীতল হয়ে গেল কিনা সেটা নিয়ে অনেকে কথা বলছিলেন৷ কিন্তু সেটা যে ঠিক নয় এটা প্রমাণ করতেও এই আয়োজন হতে পারে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম