1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গৃহহীনদের জন্য বার্লিনে হোটেলের দরজা খোলা

২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

একে তো করোনা মহামারি অন্যদিকে হাড় কাঁপানো শীত, যার কারণে বার্লিনের গৃহহীনদের অবস্থা করুণ৷ এমন পরিস্থিতিতে তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক হোটেল৷

https://p.dw.com/p/3pezZ
একে তো করোনা মহামারি অন্যদিকে হাড় কাঁপানো শীত, যার কারণে বার্লিনের গৃহহীনদের অবস্থা করুণ৷ এমন পরিস্থিতিতে তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক হোটেল৷
ছবি: Tessa Walther/DW

ক্রিস্টিয়ানের থাকার নিজস্ব কোন জায়গা নেই৷ রাস্তায়ই কাটে তার দিনরাত৷ গ্রীষ্মে হয়তো মানিয়ে নেয়া যায়, কিন্তু বিপত্তিটা হয় তীব্র ঠাণ্ডায়৷ এবার অবশ্য মাথা গোঁজার আরামদায়ক ঠাঁই পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ান৷ নভেম্বর থেকেই তার মতো ভবঘুরে গৃহহীনরা বার্লিনের একটি হোটেল থাকার জায়গা হয়েছে৷ ক্রিস্টিয়ান বলেন, ‘‘আবর্জনার স্তূপে ঘুমানোটা খারাপ ছিল না তবে হোটেলের বিছানা তার চেয়ে অনেক ভালো৷’’

এর আগের শীতগুলোতে তিনি ক্যাথলিক চার্চ পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটিয়েছেন৷ সেখানে গৃহহীনদের জন্য ৪০টি বিছানা বরাদ্দ ছিল৷ আশ্রয়কেন্দ্রের পরিচালক ভল্ফগাং ভিল্শ জানান, ‘‘এ বছর করোনার কারণে পরিস্থিতি ভিন্ন৷ সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখার কথা ভেবে সংখ্যা কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে৷ তাছাড়া ছোট কক্ষে কয়েকজন একসাথে রাত কাটানো বা মেঝেতে বিছানা করে থাকাও সম্ভব নয়৷’’

যেই হোটেলগুলো গৃহহীনদের জন্য এগিয়ে এসেছে তার মধ্যে পেনজিয়ন রাইটার একটি৷ এজন্য অবশ্য নগর প্রশাসন থেকে তারা কিছুটা ক্ষতিপূরণ পাবে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে হোটেল ব্যবসায়ীদের যা খুবই প্রয়োজন৷ করোনার কারণে  পর্যটক বা ব্যবসায়িক ট্যুর প্রায় বন্ধ থাকায় অনেকদিন থেকেই হোটেল ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে৷

হিমশীতল তাপমাত্রা

গৃহহীনদের জন্য মাথা গোঁজার একটি জায়গা যে কতোটা জরুরি তা বোঝা গেছে গত কয়েকদিনের ঠাণ্ডায়৷ তাপমাত্রা নেমেছিলো মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে, যা রাস্তায় ঘুমানোর জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ৷ এমন জরুরি অবস্থায় গৃহহীনদের জন্য বার্লিনের হোটেলগুলোকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে  দিতে আবেদন জানায় বার্লিনের চ্যারিটি সংস্থা৷ তাদের ডাকে সাড়া দেয় হোটেলগুলোও৷ গৃহহীনদের জন্য মোট এক হাজার ৪২৬ টি শয্যা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় বলে জানান, বার্লিন স্যোশাল সার্ভিসের মুখপাত্র স্টেফান স্ট্রাস৷ ঘুমানোর জন্য শুধু বিছানাই নয়, অনেক হোটেল গৃহহীনদের জন্য সকালের নাস্তা এবং রাতের খাবারে ব্যবস্থাও করে৷

গৃহহীনদের নতুন সম্ভাবনা

গৃহহীনদের দেখাশোনা দায়িত্বে রয়েছেন সিস্টার আরনল্ড৷ তাদের সাথে কথা বলা এবং তাদের মনের অবস্থা বোঝাই তার প্রধান কাজ৷ হোটেলে থাকা ভবঘুরেদের নিয়ে তিনি আশাবাদী৷ সিস্টার আরনল্ড বলেন, ‘‘জীবনের সব আশা ছেড়ে দেওয়া হতাশাগ্রস্থ গৃহহীন এই পুরুষেরা কয়েক সপ্তাহ হোটেলে সুন্দরভাবে আরাম করে থাকায় হয়তো তাদের বোধদয় হবে৷ তারা চাকরি খুঁজবে, থাকার জন্য বাড়ি ভাড়া নেবেন৷ তাদের উন্নত জীবনের সম্ভাবনা আর সুযোগ রয়েছে৷’’

টেসা ক্লারা ভাল্টার/এনএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান