গ্রেপ্তার যুবককে শনাক্ত করেছেন ঢাবি ছাত্রী
৮ জানুয়ারি ২০২০গাজীপুর থেকে মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ঢাবি ছাত্রীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
বুধবার দুপুরে কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, মজনু নামের ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক একজন ‘সিরিয়াল রেপিস্ট'৷
‘‘সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে তার ছবি দেখানো হয়েছে, তিনি ধর্ষককে শনাক্ত করেছেন৷''
পেশায় হকার মজনুর বাড়ি নোয়াখালী৷ ওই এলাকায় হকারি করার পর রাতে আশপাশেই থাকে। ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথেও সে জড়িত বলে দাবি র্যাবের৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে রোববার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পরপরই আক্রান্ত হন৷ পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে তাকে তুলে সড়কের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান৷
কয়েক ঘণ্টা পর চেতনা ফিরে পেয়ে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যান। রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরদিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা।
মামলায় বলা হয়, ধর্ষক যুবকের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা। স্বাস্থ্য মাঝারি। ঘটনার সময় তার চুল ছোট ছোট ছিল।
ক্যান্টনমেন্ট থানার এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশকে। তবে র্যাবসহ পুলিশের অন্যান্য বিভাগও তদন্ত শুরু করে৷
এদিকে সহপাঠী ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর প্রকাশের পর রোববার রাত থেকে ধর্ষককে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় দিন বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ নানা প্রতিবাদী কর্মসূচিতে দিনভর উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস।
এসএনএল/কেএম