ঝুঁকি সত্ত্বেও দেশে ফিরছেন গুয়াইদো
৪ মার্চ ২০১৯হুয়ান গুয়াইদো ইকুয়েডর থেকে নিজ দেশে ফেরার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন৷ রবিবার টুইটারে এক বার্তায় ইকুয়েডরের উপকূলীয় শহর সেলিনাসের এক নৌঘাঁটি ত্যাগের কথা জানান তিনি৷ তবে, তারপর থেকে তিনি কোথায় আছেন, তা জানা যায়নি৷ এমনকি জার্মান সময় সোমবার সকাল এগারটায় এই প্রতিবেদন লেখা অবধি তাঁকে প্রকাশ্যে কোথাও দেখা যায়নি৷
গুয়াইদো সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে এবং আর্জেন্টিনা সফর করেছেন৷ ভেনেজুয়েলার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যাতে পদত্যাগ করেন সেজন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টিতে এসব দেশ ভ্রমণ করেছেন গুয়াইদো৷
প্রতিবাদ কর্মসূচির আহ্বান
গুয়াইদো জানিয়েছেন সোমবার দেশে ফেরার পরিকল্পনা করেছেন তিনি৷ নানামুখী সংকটে থাকা দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশটির কার্নেভাল উৎসবের সময় ভেনেজুয়েলাবাসীকে সমবেত হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই বিদ্রোহী নেতা৷ গ্রিনিচমান সময় ১৫.০০-টার সময় এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা৷
টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘ভেনেজুয়েলার দখলদারপ্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যদি আমাকে এবং আমার সঙ্গীদের গ্রেপ্তারের সাহস দেখায় তাহলে কী করতে হবে, তা আমাদের আন্তর্জাতিক মিত্র এবং সংসদে থাকা ভাইদের পরিষ্কারভাবে বলা আছে৷''
প্রসঙ্গত, গুয়াইদো নিজেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ৬০টি দেশ তাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলে বিরোধীরা, মাদুরো সরকার কীভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করছে, তা আরো শক্তভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে পারবে৷ আর এর ফলশ্রুতিতে দেশটির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরো বাড়তে পারে৷
একইসঙ্গে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলে দেশটির বিরোধী দল নিজেদের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে হারাবে, যিনি গত কয়েকবছর ধরে নানাভাবে বিভক্ত বিরোধী দলগুলোকে এক ছাতার নীচে এনে সরকারের বিপক্ষে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন৷
এদিকে, গুয়াইদোকে যাতে গ্রেপ্তার করা না হয় সেব্যাপারে মাদুরোকে সতর্ক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউরোপের দেশগুলোর জোট জানিয়েছে, ‘‘গুয়াইদোকে গ্রেপ্তার করার অর্থ হবে বর্তমান উত্তেজনাকে বড় আকারে উসকে দেয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বিষয়টির দৃঢ় নিন্দা জানাবে৷''
গুয়াইদো ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে ভেনেজুয়েলায় ক্ষমতা হস্তান্তর'' চান৷ তিনি মনে করেন, এতে করে দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক এবং মানবিক সংকটের সমাধান হবে৷
উল্লেখ্য, মাদুরো সরকারের অধীনে ভেনেজুয়েলায় উচ্চ-মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে৷ দেশটিতে চলমান খাদ্য এবং ঔষুধ সংকটের কারণে ইতোমধ্যে তিন থেকে চার মিলিয়ন মানুষ অন্যদেশে চলে গেছেন৷
এআই/জেডএইচ (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)