ঘরে বসেই ঈদ দিল্লিতে
২৫ মে ২০২০সোশ্যাল নেটওয়ার্কেই এ বার ঈদ উদযাপন করছে দিল্লি। মোবারক বার্তায় ভরে গিয়েছে টাইমলাইন। কয়েক মাস আগেও কেউ ভাবতে পারেননি, এ ভাবে ঘরে বসে ঈদ কাটাতে হবে।
করোনা-লকডাউনের কারণে এ বার যে মসজিদে-ঈদগাহতে ঈদের নামাজ হবে না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিভিন্ন মসজিদের ইমামরা। দিল্লির ঐতিহাসিক জামা মসজিদের শাহী ইমাম আহমেদ বুখারি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছিলেন, এ বছর সকলকে বাড়িতে বসে ঈদ পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকলকে বলা হয়েছে, কেউ যেন লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায় বার না হন। সোমবার দিনভর সে দৃশ্যই দেখলো দিল্লি। রাস্তায় কার্যত লোক ছিল না। প্রতিটি মসজিদ এবং ঈদগায় মূল দরজা বন্ধ ছিল। ভিতরে ইমাম সহ চার জন ঈদের বিশেষ নামাজ পড়েছেন। এর বাইরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
পুরনো দিল্লির রাস্তাতেও প্রতিবারের মতো মানুষের ঢল ছিল না। খাবারের দোকানগুলি বন্ধ। তবে কোনও কোনও রেস্তোরাঁ হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছে। এ দিন সকাল থেকেই দেখা যায়, ঈদের নামাজ পড়তে ছাদে ব্যবস্থা করেছেন বহু মানুষ। পরিবার নিয়ে ছাদেই তাঁরা ঈদের বিশেষ প্রার্থনা করেছেন। গরিব মানুষকে খাবার এবং অর্থ দিতেও দেখা গিয়েছে অনেককে। মোদী মন্ত্রিসভার একমাত্র মুসলিম মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভিও বাড়িতেই ঈদের নমাজ পড়েছেন।
দিল্লিতে বসবাসকারী মহম্মদ আমিরের বক্তব্য, লকডাউনের জন্য এ বছর ঈদের বাজারও ভীষণভাবে মার খেয়েছে। প্রথম দিকে কেনাকাটা প্রায় হয়নি বললেই চলে। ঈদের দুই দিন আগে অবশ্য বাজার খুলেছিল। শনি রবিবার নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মানুষ কিছু বাজারহাটও করতে পেরেছেন। তবে বাজার খোলা ছিল সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত। তারপর কার্ফুয়ের জন্য সব বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ডয়চে ভেলের সাংবাদিক জাভেদ আখতার জানিয়েছেন, ''ঈদের দিন গোটা দিল্লি জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসে। এ বার সে সব কিচ্ছু হয়নি। ঈদ বলে মনেই হচ্ছে না।'' তবে একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, টেলিফোনে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলে সকলকে শুভ কামনা জানিয়েছেন। এটাও একটা নতুন ব্যাপার।